লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি এক সভায় প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষ কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন এটি চলবে সারাজীবন। যদিও ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করেননি।
বাংলায় বর্তমানে চালু আছে বিভিন্ন প্রকল্প ও ভাতা। মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সকল ভাতা ও প্রকল্প চালু করেছেন। যার দ্বারা উপকৃত হন সমস্ত রাজ্যবাসী। ফের আলোচ্য বিষয় উঠে এল এমনই এক প্রকল্পের কথা।
26
বর্তমানে মাসে মাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার করে ঢোকে বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। তেমনই অনেক ক্ষেত্রে মেলে বাড়তি আর্থিক সুবিধা। বর্তমানে রাজ্যে চালু থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন পড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ সকলে।
36
এই সকল ভাতার তালিকায় আছে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে আরও কত কী। এই সকল ভাতার মধ্যে বেশি খ্যাত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যা পেয়ে থাকেন ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা। মাসে মাসে মেলে আর্থিক সাহায্য।
বর্তমানে সাধারণ জাতির মহিলারা ১০০০ এবং তপশিলি জাতির মহিলারা ১৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে এবার বাড়বে ভাতা। সাধারণ জাতির মহিলারা ১৫০০ এবং তপশিলি জাতির মহিলারা ১৮০০ টাকা করে পাবেন। এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিলল বিশেষ খবর।
56
সদ্য এক সভায় তিনি জানান বিশেষ কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৯ লাখ ২৫ হাজার মা বোনেরা পায়। অন্য রাজ্যে যারা বড় বড় কথা বলেছিল, তাদের নিয়ম আছে। নানা রকম রেস্ট্রিকশন রয়েছে। বাড়িতে স্কুটি থাকলে হবে না। পাকা বাড়ি হলে হবে না। ফোন থাকলে হবে না। একজন পায় সেখানে। আমাদের এখানে সবাই পায়।…’
66
তিনি বলেন, ‘২৫ বছর বয়স থেকে শুরু হয়ে সারাজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন। সারাজীবন পাবেন। ….শেষ দুয়ারে সরকারের যে সকল আবেদন জমা পড়েছে তার ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ বাকি।…’ তবে, ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে নিয়ে আপাতত কোনও ঘোষণা করেননি। এদিকে সর্বত্র কানাঘুষো এই সেপ্টেম্বর থেকেই বাড়বে ভাতা। কিন্তু, আপাতত মেলেনি কোনও নিশ্চিত খবর।