
কোথায় সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখ? তদন্তকারীদের একাশের দাবি সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেকা গা-ঢাকা দিয়েছে বাংলাদেশে। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএসএফকে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লুকআউট নোটিশ জারি করেছে। রেশন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করছে ইডি। অন্যদিকে আইবি ও বিএসএফ-এরও সাহায্য চেয়েছে ইডির আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রের খবর, নোটিশটি সমস্ত বিমানবন্দর ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের দফতরে পাঠান হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ চৌকিগুলিকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর শুক্রবার শাহজাহান শেখের বাড়িতে যখন ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোওয়ানদের আটকে দিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা সেই সময় থেকেই এলাকা ছাড়া তৃণমূল নেতা। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায় ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। কিন্তু সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহান শেখের বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের আটকে দেওয়া হয়। ঘিরে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা। যারা নিজেদের শাহজাহানের অনুগামী বলেও দাবি করেছিল। সেই সময় স্থানীয়দের হামলায় আহত হয় ইডির আধিকারিকরা। তাদের ব্যক্তিগত ও অফিসের সম্পত্তির নষ্ট করে দেয় হামলাকারীরা। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতেও। যদিও এই সময় পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি।
ইডি এই হামলার ঘটনায় একটি বিবৃতিও জারি করেছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের তিনটি সম্পত্তিতে তল্লাশি করা করা হচ্ছিল। সেই সময়ই জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে হামলাকারী জনতা তাদের ফোন, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে এলাকার ৮০০-১০০০ জন তাদের খুন করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হবে বলেও দাবি করেছে ইডি।