সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের তিনটি সম্পত্তিতে তল্লাশি করা করা হচ্ছিল।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে বলা হয়েছে হামলার উদ্দেশ্য নিয়েই ছিল ৮০০-১০০০ মানুষ জড়ো হয়েছিল। প্রচুর মানুষের মৃত্যুর উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা করা হয়েছিল। ইডির দাবি উত্তেজিত জনতা লাঠি, পাথর, ইটের মত অস্ত্র বহন করেছিল। হামলায় ইডির তিন কর্তা আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের তিনটি সম্পত্তিতে তল্লাশি করা করা হচ্ছিল। সেই সময়ই জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে হামলাকারী জনতা তাদের ফোন, ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে।
ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শাহজাহান শেখের সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানোর সময়ই ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলা চালান হয়। তিন কর্তা তাতে জখম হয়েছে। সেই সময় হামলাকারী জনতা ছিনতাই, ইডি আধিকারিকদের ব্যক্তি ও অফিসিয়াল সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়েছে। ইডির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে নিজেদের সরকারি গাড়ি ছেড়েই তারা অটোরিকশা ও দুই চাকার গাড়িতে করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই হামলার ঘটনার এফআইআর দায়ের করা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত- শুক্রবার সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ আধিকারিক। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। সেখানেই বাধার মুখে পড়তে হয়। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের প্রায় ২০০ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। প্রথম সারিতেই ছিল মহিলারা। এই ঘটনায় অল্প সময়ের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ইডিও আধিকারিকরাও প্রাণ হাতে করে নিয়ে চলে আসে।