কালিয়াগঞ্জে গুলিকাণ্ডে যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা, জেলায় জেলায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াই

কোনওরকম অশান্তি যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য এলাকায় র‍্যাফ ও পুলিশি টহলদারি চলছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের ভয়ে রাস্তা দিয়ে হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন চালকরা।

Web Desk - ANB | Published : Apr 28, 2023 4:38 AM IST / Updated: Apr 28 2023, 10:15 AM IST

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে যে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, তা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশকর্মীদের ওপর আঞ্চলিক জনতার হামলার পর। এরপরেই এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ নামে এক যুবকের দেহ। তারপরেই পরিস্থিতি একেবারে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে আজ সকাল থেকে জেলায় জেলায় ব্যাপক মারপিট ও ধরপাকড় অব্যাহত।

মালদহ জেলা জুড়ে বনধের প্রভাব ভালোভাবেই পড়েছে। রাস্তায় বিশেষ যান চলাচল নেই, দোকান বাজার বন্ধ। পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় বুলবুলি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যথেষ্ট পুলিশবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার বিজেপির ১২ ঘন্টা বন্ধের সমর্থনে তুফানগঞ্জ শহরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করার পরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে বিজেপি মন্ডল সভাপতি ও যুব সভাপতি সমেত মোট ৭ জনকে আটক করেছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। এরপর উত্তরবঙ্গে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

হরিপুর কামাখ্যাগুড়ি সংযোগকারী রাজ্য সড়ক সহ অসম-বাংলা যোগাযোগকারী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাশিয়াবাড়ি বাজারেও পথ অবরোধ করেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকা জুড়ে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। জলপাইগুড়ি নেতাজি পাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকার পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কোনওরকম অশান্তি যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য এলাকায় র‍্যাফ ও পুলিশি টহলদারি চলছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের ভয়ে রাস্তা দিয়ে হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন চালকরা।

কোচবিহার শহরে সকাল থেকেই বন্ধের সমর্থনে বিধায়ক মালতী রাভার নেতৃত্বে মিছিল চলছিল। পুলিশ সেই মিছিলে বাধা দিলে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে প্রায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোচবিহার থেকে দিনহাটা যাওয়ার পথে চাকির মোড়ের কাছে একটি সরকারি বাসে ঢিল ছুড়ে কাঁচ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বনধের বিরোধিতা করে পালটা মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেসও। 

আরও পড়ুন-
চাকরি নিয়ে সাবধান! ক্রমশ অন্ধকার হচ্ছে আইটি সেক্টরের ভবিষ্যৎ, ভারতে তিনটি নামজাদা সংস্থায় ৬৫% কম নিয়োগ

অ্যালোপ্যাথি আর আয়ুর্বেদ ডাক্তারদের বেতন সমান হতে পারে না: যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
আদালতে এগিয়ে এল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের শুনানির দিন, ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য এবার কি রেহাই মিলবে?

Share this article
click me!