কৌস্তব বাগচির দল বদলের জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল। প্রকাশ্যে একাধিকবার কৌস্তব বাগচি একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীর ওপর আস্থাও জানিয়েছিলেন।
লোকসভা ভোটের আগেই আবারও এই রাজ্যে কংগ্রেসের ভাঙল। সব জল্পনার অবসান করে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ বাগচি। শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতেই তিনি পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী দল বদল করেন।
কৌস্তব বাগচির দল বদলের জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল। প্রকাশ্যে একাধিকবার কৌস্তব বাগচি একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীর ওপর আস্থাও জানিয়েছিলেন। যদিও কংগ্রেস মহলে জল্পনা ছিল কৌস্তবের দল বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবার থেকেই আবারও আলোচনায় ছিলেন তিনি। অনেকেই মনে করেছিল নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের রাজ্য সফরের সময়ই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু তার আগেই দল বদল করলেন কৌস্তব।
এর আগে কংগ্রেসর তরুন নেতা তথা বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস দল বদল করেছিলেন। তবে তিনি শাসকদল তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন। দলের তরুণ নেতাদের দল বদলের কারণে এবার কিছুটা হলেও চাপে পড়তে হতে পারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বিশ্বাসকে। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কৌস্তব বাগচী। আইনজীবী হিসেবেও সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যপুলিশ। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থায় জামিনে মুক্ত হল কৌস্তব বাগচী। সেই সময়ই তিনি প্রকাশ্যেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যতদিন রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করতে পারবেন না তত দিন এই তিনি চুলও রাখবেন না। কৌস্তবের এই মন্তব্য নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছিল।