Mamata Banerjee: 'আর ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে না', কেন বিজেপিকে লক্ষ্য করে এমন কথা বললেন মমতা

এদিন কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় ভোট প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোচবিহারের জনসভা থেকে এদিন মমতা এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিজেপিকে টার্গেট করেন মমতা।

গরমকালে ভোট করা নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার। তিনি বলেন, গরমকালে ভোট করলে সমস্যা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের কথা শোনে না। বিজেপির কথা শুনেই গরমকালে ভোট করে।

এদিনের জনসভায় মমতা বলেন বিজেপি এক দেশ এক ভোট নীতির কথা বলছে। এই নীতি কার্যকর হলে দেশে আর কখনই ভোট হবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। দেশে তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার।

বিজেপির ইস্তেহারে এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সেই কথা তুলে মমতা বলেন এি নীতি কার্যকর হলে দেশে আর ভোট গ্রহণ হবে না। স্বৈরাচারী সরকার তৈরি হয়। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

সপ্তাহখানেক আগে কোচবিহারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতা সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন কোচবিহারে এলেও ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা মোদী সফর করেননি। শুধুমাত্র তৃণমূলকে আক্রমণ করেই চলে গিয়েছেন।

মমতা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পার্টি দেশের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টি। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কোথায় কী কী দুর্নীতি হয়েছে তার প্রমাণ দিন।

২০১৪ সালে মোদী দেশের প্রত্যেক মানুষকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা কোনও মানুষই পাননি বলেন অভিযোগ করেন। কিন্তু রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধে সকলেই পান বলে মমতার দাবি।

বিজেপির ইস্তারে সিএএ, এনআরসি আর ইউফর্ম সিভিল কোডের কথা বলা হয়েছে। তাই নিয়ে মমতা বলেন, মাছের মাথা হল ক্যা, ল্যাজা হল এনআরসি। আর মাঝখানটা হল ইউফর্ম সিভিল কোড। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ কী খাবেন তাও ঠিক করে দেবে বিজেপি। রাতে ক-ঘণ্টা ঘুমাবে তাও বিজেপি ঠিক করে দেবে।

মমতা বলেন এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে যদি স্বাধীন রাখতে হয় তাহলে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ আর স্বাধীন থাকবে না। উপজাতি আর আদিবাসীদের সমস্যায় পড়তে হবে।

মমতা জোট নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলায় একমাত্র তৃণমূলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কংগ্রেস আর সিপিএম বিজেপির সঙ্গে ভাইভাই খেলছে। তাই দেশের রাজনীতি আগামী দিনে ঠিক করবে তৃণমূল কংগ্রেস।