কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পাশাপাশি নিজের লেখা দুটি কবিতা পাঠনও করেন। তিনি নিজেই জানান সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় দীর্ঘ ২৬ দিন অনশন নিয়ে একটি কবিতা। অন্যটি তাঁর প্রিয় মাটির বাড়ি নিয়ে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের ১০ বছর পূর্ণ হল। ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের দিনগুলির কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন স্বীধানতা আন্দোলনের শুরুটাই হয়েছিল বাংলা থেকে। স্বাধীনতা আন্দোলনের বাংলা আর পঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা ছিল। তিনি আরও বলেন আন্দামান জেলে গেলে দেখা যায় ৯০ শতাংশই বাংলার সংগ্রামী। তিনি আরও বলেন, বাংলাকে যেন কেউ ধমক বা চমক দিতে না পারে। বাংলাকে চমক আর ধমক দেবে বাংলার মানুষই।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পাশাপাশি নিজের লেখা দুটি কবিতা পাঠনও করেন। তিনি নিজেই জানান সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় দীর্ঘ ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। সেই সময়ই লিখেছিলেন একটি কবিতা। কবিতাটির নাম 'আমার ঠিকানা'। তিনি আরও বলেন, সেই সময় একটা সময় তিনি নিজেও মনে মনে ভেবেছিলেন তিনি মরা যেতে পারেন। তাঁর দলের ছেলেমেয়েরা কান্নাকাটি করছিল। চিকিৎসকরাও তাঁকে মানে করেছিলেন এই ভাবে না খেয়ে থাকতে। তিনি আরও বলেন, খেয়েদেয়ে নয় , না খেয়ে আমরণ অনশন করেছিলেন তিনি। কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা আরও একবার সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
মমতার দ্বিতীয় কবিতা ছিল 'মাটির ঘরে'। তিনি বলেন মাটি তাঁর প্রিয়। তিনি নিজেও মাটির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেটি তাঁর খুব প্রিয়। সেটিকে এখনও তিনি যত্ন করে রাখেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে নিজের মনের কথা কবিতার মধ্যে দিয়ে শুনিয়ে দেন। তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই জয় ইন্ডিয়া স্লোগান তোলেন।
আরও পড়ুনঃ
'স্বপ্নদীপের শরীরে সিগারেটের পোড়া দাগ', শারীরিক নির্যাতনের কারণেই মৃত্যু বলে দাবি WBCPCR র
টার্গেট লোকসভা ভোট, সংগঠন মজবুত করতে বিজেপি কর্মীদের একাধিক টিপস জেপি নাড্ডার
মমতার সঙ্গে কেন জোট কংগ্রেসের? নদী-পুকুরের তুলনা টেনে স্পষ্ট করলেন অধীর চৌধুরী
অল্প বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কাজ্যের একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার মেয়েদের একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। সেই কারণে এই রাজ্যের মেয়েরা আজ অনেক বেশি নিরাপদ। তিনি রাজ্যের পড়ুয়াদের বাংলার নাম উজ্জ্বল করার জন্য আরও এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।