সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বাংলার হিংসা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অধীর বলেন বাংলায় কোনও কিছুই ঠিক নেই।

 

প্রথমেই আসি বাংলার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বাংলার হিংসা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অধীর বলেন বাংলায় কোনও কিছুই ঠিক নেই। সেখানে কংগ্রেস স্থানীয়ভাবে বিরোধিতা করছে। প্রতিবাদ করছে। তবে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস রয়েছে বলে এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে বাংলায় সবকিছু ঠিক রয়েছে। ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ অধীর চৌধুরে দাপুটে সাংবাদিক রজত শর্মার একটি প্রশ্নের উত্তরে বাংলাকে পুকুর আর ভারতকে নদীর সঙ্গে তুলনা করেন। তারপরই তিনি বলেন, পুকুরের থেকে নদীকে স্বাভাবিকভাবেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই কংগ্রেসও নদীকেই বেশি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল সম্পর্কে অধীরের সাম্প্রতিককালের কিছু মন্তব্যের কথাও তুলে ধরা হয়, সেই ইস্যুতে অধীর বলেন, তিনি স্পষ্ট কথা বলতে ভালবাসে। যা বলার তা সামনেই বলেন, পিছনে কোনও কথা বলে না।

অধীর এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, নরেন্দ্র মোদী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ তাঁর শত্রু নয়। রাজনৈতিকভাবে তারা অধীর চৌধুরী ও কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তিনি সম্মান করেন। দুজনের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। আদর্শের লড়াই। দেশের মানুষের স্বার্থে তিনি লড়াই করছেন বলেও ল্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন রাজনীতিতে সবকিছুই সম্ভব।

সেলুলয়েডে সীমা-শচীনের প্রেম, বিতর্ক আর হুমকি উপেক্ষা করেই আনা হতে পারে পাকিস্তানি স্বামীকে

মণিপুর ইস্যু

অধীর মণিপুর ইস্যুতে আবারও সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তিবি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই মণিপুরবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানানো উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর উচিৎ সেখানকার মানুষকে আশ্বাস দেওয়া। মণিপুরে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার উচিৎ নরেন্দ্র মোদীর। সেই দলের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। মণিপুরে শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে বেশি উদ্যোগী হওয়ার জরুরি। কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠের অহংকারের কারণে প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন অধীর। তিনি বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী ২ ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন, কিন্তু মণিপুর নিয়ে মাত্র তিন মিনিট কথা বলেছেন। অধীর আরও বলেন বিরোধীরা জানত প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে কথা বলবে না, সেই কারণেই তারা আগে থেকে ওয়াকআউট করেছিল।

'ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে', সাসপেনশন নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ার অধীরের

সাসপেনশন ইস্যু

অধীর বলেন সংসদে মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার জন্য বিরোধী সাংসদরা অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু মণিপুরে হিংসার তিন মাস পরেও কেন্দ্র নীরব ছিল। হত্যা ধর্ষণের মত ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছিল। সেই কারণেই মণিপুরকে হস্তিনাপুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নীরব মোদী বলেছেন। নীরব অর্থ চুপ করে থাকা - ব্যবসায়ী নীরব মোদীর সঙ্গে তুলনা করেননি বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর ভুল হয়ে থাকলে তাঁরে ফাঁসি দিতে পারে কেন্দ্র। তিনি রাজনৈতিক জীবন ছেড়েও দিতে পারেন। কিন্তু নিজের মন্তব্যের জন্য কোনও ক্ষমা তিনি চাইবেন না। তিনি জানিয়েছেন কোনও অসংসদীয় আচরণ তিনি করেননি।

সোশ্যাল মিডিয়া রাহুলকে গুণে গুণে গোল প্রধানমন্ত্রীর, টুইটার - ফেসবুক সবেতেই এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী