থানার মধ্যেই বিধবা যুবতীর সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিয়ে দিলেন আইসি, প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সকলে

Published : Feb 26, 2025, 06:10 PM IST
chapra police station

সংক্ষিপ্ত

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মামনি ও তাঁর সন্তান যেন একপ্রকার অসহায়ের মত দিন কাটছিল।। সিভিক ভলেন্টিয়ার রথীন যেভাবে মা ও তাঁর নাবালক সন্তানের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আপন করে নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ঘটনা প্রগতিশীল ও মানবিক বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী।

এক বিধবা যুবতীর সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিয়ে দিয়ে সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন থানার আইসি। বিয়ের আসর বসল থানাতেই। ফুল, মালা ও আলোকসজ্জায় বদলে গিয়েছিল থানার পরিবেশ। সমস্ত ব্যবস্থপনা করলেন বড়বাবু। বিয়ে উপলক্ষ্যে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। নিমন্ত্রিতরা এসে সব আয়োজন দেখে রীতিমত প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন চাপড়া থানার আইসি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়ের। জানা গিয়ছে, বরকর্তার মতোই অনিন্দ্যবাবু সবটাই সামলেছেন, তাঁকে সহকর্মীরাও পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।

ঘটনাস্থল নদিয়া জেলার চাপড়া থানায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে প্রায় চার বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামীকে চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলেন হারান মামনি ঘোষ। তাঁর একটি নাবালক ছেলেও রয়েছে। স্বামী না থাকায় কার্যত সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল ওই যুবতীর। ছেলেকে মানুষ করার বিরাট দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। অল্প বয়সেই মামনি স্বামীকে হারিয়ে একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। এবার সেই মামনির সঙ্গেই পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রথীন হালদারে বিয়ে দেন চাপড়া থানার আইসি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়।পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী নয়, বরং সমাজের অসহায় মানুষেরও এক বড় ভরসাস্থল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মামনি ও তাঁর সন্তান যেন একপ্রকার অসহায়ের মত দিন কাটছিল।। সিভিক ভলেন্টিয়ার রথীন যেভাবে মা ও তাঁর নাবালক সন্তানের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আপন করে নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ঘটনা প্রগতিশীল ও মানবিক বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী সহ পুলিশমহল। বাসিন্দারা পুলিশের এমন ভূমিকা দেখে বললেন, এভাবেই যেন সামাজিকভাবে সবসময় তাঁদের পাশে থাকে পুলিশ প্রশাসন ।

নিমন্ত্রিতরা সকলেই আশীর্বাদ করেছেন নবদম্পতিকে , তাঁদের নতুন জীবনের শুভকামনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে চাপড়া থানার পুলিশ সহ আইসি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়ের এই ভূমিকার প্রশংসা করে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এভাবে থানার মধ্যেই তাঁদের বিয়ের আয়োজন করার জন্য আইসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নবদম্পতি রথীন ও মামনি। তাঁরা জানালেন, আইসি সহ থানার পুলিশকর্মীরা এভাবে পাশে না দাঁড়ালে এত সহজে হয়তো তাঁদের নতুন জীবন শুরু করা সম্ভব হত না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে

PREV
click me!

Recommended Stories

অবশেষে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হুমায়ুনের, কী প্রতিক্রিয়া কার্তিক মহারাজের?
West Bengal SIR News: মৃত ব্যক্তির নথি চুরি করে ভোটার! এই বাংলাদেশির স্বীকারোক্তি শুনে চমকে যাবেন