পিসিশাশুড়ির ব্যাঙ্কে থাকা ৩ লক্ষ টাকাই খুনের মোটিভ? মৃতার টাকাতেই আত্মগোপনের ছক- পুলিশের হাতে ভয়ঙ্কর তথ্য

আহিরীটোলায় একটি ট্রলিব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ়ার কাটা দেহ। গ্রাফতার করা হয়েছিল মা ও মেয়েকে। প্রাথমিক তদন্তে তারাই খুনি। কিন্তু কী কারণে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড?

পিসিশাশুড়ি খুনের মোটিভ কী

আহিরীটোলায় একটি ট্রলিব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ়ার কাটা দেহ। গ্রাফতার করা হয়েছিল মা ও মেয়েকে। প্রাথমিক তদন্তে তারাই খুনি। কিন্তু কী কারণে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড?

খুনের তদন্ত

মধ্যমগ্রামের যে বাড়িতে মা ও মেয়ে ভাড়া থাকত সেই বাড়িতেই খুন করা হয়েছিল প্রৌঢ়া সুমিতা ঘোষকে। ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা।

গ্রেফতার মা ও মেয়ে

মঙ্গলবারই মা আরতি ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তাতেই তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে।

ব্যাঙ্কে থাকা ৩ লক্ষ টাকা

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে পিসিশাশুড়ি সুমিতার ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ছিল ৩ লক্ষ টাকা। আর সেই টাকাই খুনের মোটিভ বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। তবে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাসওয়ার্ড চেঞ্চ

জেরায় মা ও মেয়ে স্বীকার করেছিল পিসিশাশুড়ির এটিএম কার্ড পেয়েছিল ফাল্গুনী। পিসিশাশুড়ির নির্দেশেই কিছু দিন আগে এটিএম কর্ডের পিন বদল করেছিল ফাল্গুনী। তখনই জানতে পারে টাকার কথা।

সোমবার নয়, রবিবারই খুন

জেরায় মা ও মেয়ে জানিয়েছে রবিবার রাতেই সুমিতাকে তারা খুন করে। তারপর পিসিশাশুড়ির দেহ বাড়িতে রেখে বউবারেজে এসেছিল গয়না তৈরি করতে। প্রথমেই ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলে ফাল্গুনী। গয়নার দোকানে আগাম টাকাও দিয়ে দিয়েছিল।

দফায় দফায় টাকা তোলা

জেরায় মা ও মেয়ে জানিয়েছে ২৫ হাজার টাকা তোলার পর দফায় দফায় কয়েক হাজার টাকা তারা সুমিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলেছিল।

সোমবার সকালে কলকাতায় আসে

জেরায় মা ও মেয়ে স্বীকার করে নিয়েছে সোমবার সকালেও তারা কলকাতা এসেছিল। কলকাতা থেকে কিনেছিল ঢাউস ট্রলিব্যাগটি।

পাউডার কিনেছিল

জেরায় মা ও মেয়ে জানিয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাউডার কিনেছিল। তারপরই দেগ টুকরো টুকরো করে। পচা গন্ধ যাতে না ছড়ায় তারজন্যই পাউডার ছড়িয়ে দেয়।

পিসির টাকাতেই আত্মগোপনের ছক

তদন্তকারী সূত্রের খবর, পিসিশাশুড়ির টাকাতেই আত্মগোপনের ছক কষেছিল মা ও মেয়ে। আর সেই কারণে আবারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা তুলেছিল।

তদন্ত চলছে

কলকাতা পুলিশের হোমিসাইডের গোয়েন্দারা এবং কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মধ্যমগ্রামে বিদেশপল্লীর বাড়িতে যান ৷ সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ৷

জেরা চলছে

পুলিশ কখনও মা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করছে। কখনও আবার আলাদা আলাদ করে জেরা করছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।