ভোটার তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও BLO-র কাজের দায়িত্বে স্কুল শিক্ষক, নদীয়ায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

Published : Oct 29, 2025, 01:40 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Nadia BLO News: বিএলও-র দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকের নামই নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Nadia BLO News: SIR শুরু হতেই রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকে এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে BLO হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর নিজেরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়! আরও আশ্চর্যের বিষয়, সেই তালিকায় তার পরিবারের কারও নামও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কী অভিযোগ উঠেছে?

ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা রজনীকান্ত পালকে ঘিরে। তিনি কালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় ১৮৫ নম্বর বুথের বিএলও। ব্লক প্রশাসন তাকে নিয়োগপত্র দিলেও পরে জানা যায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। বয়সের কারণে তার নাম ওঠে ২০১৪ সালে। কিন্তু তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও নামও ২০০২ সালের তালিকায় না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, নিজের নামই নেই যার, তিনি আবার অন্যের নাম যাচাই করবেন কীভাবে? এদি্কে গোটা বিষয়টি চাউর হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

অন্যদিকে, এসআইআর ইস্যুতে খোদ দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''যে পাঁচটা রাজ্যে ভোট আছে, খুব কৌশলের সঙ্গে অসমকে বাদ দিয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে। তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে SIR হবে না।” এমনকি বৈধ নাগরিকদের নাম বাদ গেলে কমিশনকে ছেড়ে কথা বলবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।''

'SIR' ইস্যুতে সোমবারই দিল্লি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এক-একবার একেক রকম অভিযোগ তুলে নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারকে দেশ ছেড়ে না পালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

তবে শুধু অভিষেকের হুঁশিয়ারিই নয়। এসআইআর কার্যকর হতেই বাঁকুড়ায় ধরা পড়লো এক হাজারেরও বেশি ভুয়ো ভোটার। এসআইআর নিয়ে তরজার মাঝেই এবার বঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় ধরা পড়ল একের পর এক ভুয়ো ভোটার। যা নিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে দুষে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তোপ তৃণমূল কংগ্রেসের।

বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের শ্যামপুর গ্রাম আদতে হিন্দু গ্রাম হলেও সেখানের ২৮৫ নম্বর বুথে একের পর এক ভোটারের নামের তালিকা দেখতেই চক্ষু চড়ক গাছ। সবই ভুয়ো ভোটার। এই বুথের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে ১০৪৬ জনের। যাদের প্রত্যেকেই মুসলিম। জানা গিয়েছে, সেই ভোটার তালিকায় নিজেদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য দেখতে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন একের পর এক ভোটার ভুয়ো।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রাজ্যজুড়ে আরও বাড়বে শীতের আমেজ, উইকএন্ডে কেমন থাকবে আবহাওয়া? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট
চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন