আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই বিজেপি নির্বাচনী রণকৌশল ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে একটি বড় ঘটনা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা।
আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই বিজেপি নির্বাচনী রণকৌশল ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে একটি বড় ঘটনা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। গত বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর জনসভার সংখ্যার তুলনায় এই বছর বেশি জনসভা মোদী করবেন কিনা তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যের অন্দরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে এখনই ঝেড়ে কাশতে নারাজ।
25
গতবারে মোদীর সভা
বিজেপির হিসেব অনুযায়ী গত বিধানসভা অর্থাৎ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই রাজ্যে প্রায় ৪০টি জনসভা করেছিলেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই ছিল মোদীর সভা। কিন্তু মোদীকে দিয়ে এতগুলি সভা করানোর পরেও মমতার ভোটে ধস নামাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
35
সাবধানী বিজেপি
তাই এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনসভা নিয়ে যথেষ্টই সাবধানী গেরুয়া শিবির। এবার মোদীকে দিয়ে বেছে বেছে সভা করানোর পক্ষেই বিজেপির রাজ্যনেতৃত্ব সায় দিচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের মত এইরাজ্যেও বিজেপির নির্বাচনী মুখ নরেন্দ্র মোদী। সেলিব্রিটি প্রচারক। তাই মোদীকে যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তারই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
ভোটের নির্ঘণ্ট আগামী বছর ফেব্রুয়ারি কি মার্চ মাসে প্রকাশ হতে পারে। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকেই এই রাজ্যে ভোট প্রচার শুরু করতে চলেছেন মোদী। নির্বাচনী প্রক্রিয়া মিটতে এপ্রিল কি মে মাস। তাই হাতে থাকছে ৫-৬ মাস। এই কয়কটি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে ১৫টি সভা করতে পারে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী বিজেপির সবথেকে জনপ্রিয় মুখ। জনমোহিনী ক্ষমতা তাঁর সবথেকে বেশি। তাই তাঁকে বেশি করে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
55
শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য
বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে নারাজ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে কতগুলি জনসভা করবেন তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, কোনও দল নির্বাচনী রণকৌশল কখনই ফাঁস করে না। নির্বাচনী রণকৌশলের মধ্যে ভোট প্রচার ও কর্মসূচিও রয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত।