কেন পুলিশ তড়িঘড়ি সরিয়ে দিল নার্সের দেহ? সিঙ্গুর-কাণ্ডে প্রতিবাদে সরব স্থানীয়রা

Published : Aug 16, 2025, 01:11 PM IST
Nurse hanging body found in Singur locals with family block road in protest

সংক্ষিপ্ত

মাত্র তিন দিন আগে এক বান্ধবীর পরিচয় সূত্রে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে হাসপাতালের চার তোলার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 

মাত্র তিন দিন আগে কর্মক্ষেত্রের যোগ দেওয়া নার্সের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে হুগলিতে। ঘটনাস্থল হুগলির সিঙ্গুরের বড়াতেমাথা অঞ্চলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। শিবম সেবা সদন নার্সিংহোম। মাত্র তিন দিন আগে এক বান্ধবীর পরিচয় সূত্রে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে হাসপাতালের চার তোলার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবতীর নাম দিপালী জানা। বয়স ২৪ বছর। বাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রায় নগর এলাকায়।

দিপালীর বাবা সুকুমার জানার অভিযোগ, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই দিপালী ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং প্রশিক্ষণের,জে এন এম এর পরীক্ষা দিয়েছিল। সার্টিফিকেট এর জন্য এই বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতে এসেছিল। চলতি সপ্তাহে বুধবার রাতে হাসপাতালে চারতলার ঘর থেকে দীপালির ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাত এগারোটার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিপালীর বাবাকে ফোন করে জানায় তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার পরিজনেরা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভোর তিনটের সময় হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়ে তারা দেখেন মেয়ের দেহ পুলিশ নিয়ে গেছে। এর পরেই দিপালীর পরিবারের লোকজন্য ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দিপালীর বাবা সুকুমার জানা জানিয়েছেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি তার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে মালিকের শাস্তির দাবিও তোলেন।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা, শ্রীরামপুর- চন্ডীতলা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এই বিক্ষোভে যোগ দেয় ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরাও। তাদের সকলের একটাই অভিযোগ কেন পরিবারের লোক আসার আগেই মৃতদেহ নিয়ে গেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিজেপি ও বাম কর্মী সমর্থকরা।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায় জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তবে পরিবারের লোক যা অভিযোগ করছে তা লিখিত আকারে জানালে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশ যাই বলুক না কেন, পরিবার পরিজনের সাথে স্থানীয়রাও আরে এক আরজি কর কাণ্ডের ছায়া দেখছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?