Mahestala Clash: গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি ১৬৩ ধারা

Published : Jun 12, 2025, 07:08 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Mahestala News: ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্তির আগুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। কী কারনে অশান্তি? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…  

Mahestala News: দুই পক্ষের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এখনও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলা (Mahestala) এলাকা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে আনলেও বর্তমানে সেখানে জারি রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ নম্বর ধারা। সূত্রের খবর, বুধবার থেকেই দুই পক্ষের গোষ্ঠী সংঘর্ষে দফায়-দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার আক্রা-সন্তোষপুর এলাকা।

ঠিক কী কারণে মহেশতলায় অশান্তি (Mahestala News):-

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি ফলের দোকান বসা নিয়ে দু-পক্ষের বিবাদে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশকে ধরেও শুরু হয় মারধর। ছোড়া হয় ইট। মাথায় ইট লেগে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর জখম হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। অশান্তির জেরে একজন পুলিশ কর্মীর নাক ফেটে রক্তও বেরোয়। একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার মধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সেই আগুন। অভিযোগ পুলিশের গাড়িতেও বেপরোয়া ভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।

বসার জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরে মহেশতলায় অশান্তি (Mahestala News):-

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যেখানে এই অশান্তি তৈরি হয়েছে সেখানে একজন ফল বিক্রেতা আম বিক্রি করতেন। সেখানে তার বসার জায়গাতেই তৈরি করা হয়েছে তুলসী মঞ্চ। যা নিয়ে চরমে ওঠে বিবাদ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সংঘর্ষে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই আম বিক্রেতা তুলসী মঞ্চ দেখে রেগে যান। তারপরই শুরু হয় বিবাদ। দুই পক্ষের কয়েক শো জনতাকে সামলাতে পুলিশের রীতিমত নাকানি চোবানি খেতে হয়। পুলিশের দিকেও পাল্টা পাথর ও ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে পরে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ সহ পুলিশে শীর্ষ কর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ, ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। মৃদু লাঠিচার্জও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চলছে পুলিশের টহল।

এদিকে এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক শিবিরকে তীব্র আক্রমণ শুরু গেরুয়া শিবিরের। বুধবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভবানীভবনের সামনে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ''পুলিশ ফেল। আগামীকাল প্রশ্নোত্তর পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না।'' শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনেও যেতে পারেন তিনি। ওইদিনই আবার থমথমে মহেশতলায় যেতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

সূত্রের খবর, বিজেপির এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে মহেশতলার অশান্তি প্রসঙ্গে পুর ও নগরোয়ন্ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''বাংলা কখনই গুজরাট হবে না। এখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ছিলাম, আছি, থাকব। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আমাদের বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। দুষ্কৃতীরা শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে আইন কঠোরভাবে তার প্রতিরোধ করবে। কড়া শাস্তি হবে।''

যদিও মহেশতলায় অশান্তির পর থেকেই এখনও থমথমে এলাকা। জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। রাস্তায়-রাস্তায় চলছে পুলিশি টহল। ফের যাতে মুর্শিদাবাদের জাফরবাদের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা রুখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তবে এখন দেখার মহেশতলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজার জল কতদূর গড়ায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রাজ্যজুড়ে আরও বাড়বে শীতের আমেজ, উইকএন্ডে কেমন থাকবে আবহাওয়া? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট
চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন