রাজ্যের খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যারমধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের নামও।
নবান্নে অর্থ দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, প্রত্যেক দফতরকেই খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে রাখতে হবে। সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না কোনও দফতর।
511
রাজ্যের এই উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যারমধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের নামও।
611
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে টানা চলছে এই প্রকল্প। এটির মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের হাতে প্রতি মাসে ১৫০০ ও পিছিয়ে পড়াদের হাতে ১৮০০ টাকা করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
711
কিন্তু খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়তে পারে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ওপর। যদিও ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তাই এই জাতীয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে কাটছাঁট করা হবে না বলেও মনে করছেন অনেকে।
811
খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার কারণ হল, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের ভার মমতা সরকার নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না বলে অভিযোগ। তাই খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধেছে রাজ্য।
911
বর্তমানে সড়ক, আবাস, ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্প রাজ্য সরকার নিজে থেকেই চালাচ্ছে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্প। সেই কারণে কোষাগারের ওপর প্রবল চাপ পড়ছে।
1011
অর্থসচিব প্রভাতকুমার মিশ্রের সই করা এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, এখন থেকে প্রতিটি প্রকল্পের ছাড়পত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের উপদেষ্টার অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
1111
তাই অনেকেই মনে করছেন নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের টাকা বাড়াবে না রাজ্য। তবে ভোট বড় বালাই। তাই আশা ছাড়তে নারাজ মহিলা ভোটারা।