বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই পাচারকাণ্ডের তদন্তেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ জন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক ২২টি দলে ভাগ হয়ে কলকাতা-সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
26
বালি পাচার কী
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, বৈধভাবেই লিজ নেওয়া বালি খাদান থেকেই বেআইনিভাবে তোলা হত অতিরিক্ত বালি। তা অবৈধভাবে পাচার করা হত। তদন্তকারী সূত্রের খবর, বালি পাচারে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। তা একাধিক সংস্থার মাধ্যমে বেআইনিভাবে বিনিয়োগ করা হত। কালো টাকা সাদা করা হত। কিন্তু কীভাবে কোথায় দিয়ে এই অবৈধ লেনদেন হত তা খতিয়ে দেখছে ইডি।
36
ইডির নজরে সুবর্ণরেখা নদীর বালি
ইডির নজরে রয়েছে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদীর বালি। এই নদীতে থাকা প্রতিটি খাদানেই নজর রয়েছে ইডির। সুবর্ণরেখা নদীর বালি খাদানের ব্যবসা থেকেই ফুলেফেঁপে লাল হয়ে উঠেছে শেখ জাহিরুল আলি। তিনি নাকি মেদিনীপুরের বালিচক্রের বেতাজ বাদশা।
ইডি সূত্রের খবর ছিলেন সাইকেল মিস্ত্রি। ভিলেজ পুলিশেও কাজ করেছেন। কিন্তু জালি তথ্য দেওয়ায় সেই চাকরিও চলে যায়। তারপরই বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত হন জহিরুল শেখ। তারপরই রাতারাতি বহু সম্পত্তির মালিক হয়ে যান।
56
কুঁড়ে ঘর থেকে অট্টালিকা
স্থানীয়দের কথায় বছর কয়েক আগেও জহিরুলরা থাকত একটি কুঁড়ে ঘরে। কিন্তু এখন তাদের বিরাট অট্টালিকা। জহিরুলের এক ভাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মী ছিলেন। কিন্তু কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যাওয়ার পরে ছোট ভাই সেই চাকরি পায়। অষ্টম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে জহিরুল ভিলেজ পুলিশে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু সেটি জাল থাকায় চাকরি চলে যায়। তারপরই বালি চক্রে জড়িয়ে পড়ে বলেও স্থানীয়রা দাবি করেছে।
66
টাকা উদ্ধার
সূত্রের খবর জহিরুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তার বাড়িতেই ছিল ইডির আধিকারিকরা। গোপীবল্লভপুরের সঙ্গে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক, সল্টলেক-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।