
SIR West Bengal: আজব কাণ্ড বঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের ৪৪টি জায়গায় একজনের নাম (sir west bengal)। হাওড়ায় যে মায়ারানি রায়, তিনিই আবার বাঁকুড়ায় মায়ারানি মুর হয়ে বসে আছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে সেই মহিলাই হয়ে যাচ্ছেন মায়ারানি প্রামাণিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে আবার মায়ারানি নাইয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তিনিই হয়ে গেছেন মায়ারানি মণ্ডল (sir west bengal 2025)।
এরপর আবার বর্ধমানে মায়ারানি কোঙার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে মায়ারানি রায়। রাজ্যের মোট ৪৪টি জায়গাকে যেন তিনি মায়ার বাঁধনে মুড়ে ফেলেছেন। অর্থাৎ, ৪৪টি ভোটার তালিকায় তিনি রয়েছেন। তবে স্থানভেদে পদবি আবার আলাদা আলাদা।
সবথেকে বড় বিষয়, তাঁর স্বামী গৌরবাবুর পদবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সেগুলি রাখা হয়েছে। পেশায় রাঁধুনি সেই মধ্যবয়স্কা মায়ারানীকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পশ্চিম বর্ধমানে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিধবা মায়ারানী গোস্বামীর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ডিভিসি পাড়ায়। মূলত, ৪৭ নম্বর বুথের ভোটার তিনি। তাঁর এনুমারেশন ফর্মে কোড স্ক্যান করতে গিয়ে রাজ্যের ৪৪ জায়গায় ভোটার হিসাবে তাঁর নাম পেয়েছেন সেখানকার বিএলও। বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করে কোনওরকমে দিন চলে তাঁর।
সেই মহিলা থাকেন সরকারি প্রকল্পে পাওয়া একটি বাড়িতে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো কিছুই জানি না এই বিষয়ে। শুরু থেকে আমি বৈদ্যনাথপুর স্কুলে ভোট দিয়ে আসছি। এসআইআর-এর ফর্ম পাড়ার সবাই পূরণ করেছে। তাই আমিও করেছি। তারপর আমাকে এসে প্রশ্ন করছেন সবাই। তবে অনেকেই বলেছেন যে, আমার কোনও ভয় নেই।’’
জানা যাচ্ছে, পশ্চিম বর্ধমানের এই মায়ারানী দেবীর নামে ৪৪টি ভুয়ো এপিক কার্ড রয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।