
এক সময় রমরমিয়ে চলত হিন্দমোটরের কারখানা। কাজ করতেন হাজার হাজার মানুষ। সেই কারখানায় তৈরি হল অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। অনেকে বলেন, এই কারখানার ওপর নির্ভর করে সেই অঞ্চলে নাকি মানুষের বসতি বেড়েছে। তবে, শেষ কয়েক বছরে সেই চিত্র আর খুঁজে পাওয়া যায় না। না আছে আলো, না শোনা যায় কোনও শব্দ। বছরের পর বছর বন্ধ থেকে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে সেই চত্বর। চাকরি হারিয়েছে বহু মানুষ। এবার সেই খারাপ দিনের বদল আসতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা হিন্দমোটর কারখানা এবার খোলা হবে।
জানা যায়, ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই কারখানা। তার আগে হিন্দুস্তান মোটরস-র বিরাট কারখানা ছিল সেখানে। অ্যাম্বাসাডর গাড়ি উৎপন্ন হত। তবে তা বন্ধ হওয়ার পর থেকে এলাকাটি ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সেই বিরাট পরিমাণ জমির একাংশে টিটাগড় ওয়াগন কারখানায় রেলের কোচ তৈরি হয়। মেট্রো রেলের কোচ তৈরির পাশাপশি ইএমইউ-র এসি কোট তৈরি অর্ডার পেয়েছে তারা। এবার সেই হিন্দমোটরের জমির আরও কিছু অংশ নিতে চলেছে টিটাগড় ওয়াগন। সরকারের কাছে এমনই আবেদন করেছেন তারা। যার ফলে অনেকের আশা খুলবে হিন্দমোটর কারখানা।
সদ্য কারখানা সম্প্রসারণের প্রয়োজন পড়েছে টিটাগড় রেল সিস্টেমের। মেট্রো রেলের কোচ তৈরির পাশাপশি ইএমইউ-র এসি কোট তৈরি অর্ডার পেয়েছে তারা। তাই রাজ্য সরকারের কাছে জমি আবেদন জানানো হয়েছিল। ২০২২ সালে হিন্দুস্তান মোটরসের জমি অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। সেই জমি থেকে ৪০ একর জমি টিটাগড় ওয়াগনকে লিজ দিল রাজ্য। ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীও বসানো হয়ছে ওই জায়গায়।
হিন্দুস্তান মোটর শ্রমিক আন্দোলনর বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, রাজ্য সরকার ও হিন্দুস্থান মোটরের মিলিত চেষ্টায় কারখানার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়েছে। এখনও প্রায় আড়াইশ শ্রমিক পিএফ-গ্র্যাচুইটি পায়নি। তাদের কথা ভাবেনি সরকার। হিন্দমোটর নিয়ে শ্রমিকরা চাইলে আবারও আন্দোলন হতে পারে।