চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান, দফায় দফায় সংঘাত পুলিশের সঙ্গে

Saborni Mitra   | ANI
Published : Jul 14, 2025, 08:27 PM IST
Terminated teachers call for Nabana drive, Kolkata

সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষকরা নবান্ন অভিযান করে। নতুন করে পরীক্ষায় না বসার দাবি নিয়েই চাকরিহারা শিক্ষকরা এদিন নবান্ন অভিযান করেছিল।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা 'যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ' ব্যানারে হাওড়া থেকে 'নবান্ন অভিযান' শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া কলুষিত হওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি নতুন করে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। চাকরি হারানো শিক্ষকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

প্রথম থেকেই নবান্ন অভিযান ঘিরে দফা দফা উত্তেজনা ছিল হাওড়া সংলগ্ন এলাকায়। মল্লিক ফটকে মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। নিয়ম না ভাঙার অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু চাকরিহারারা পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বচসায় জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত যোগ্য চাকরিহারারা মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার ছাড়পত্র পায়। ১৮ জন যোগ্য শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক-কর্মী-সহ ২০ জনের সঙ্গে দেখা করার ছাড়পত্র পায়। হাওড়ার শিবপুরের পুলিশ লাইনে হতে পারে বৈঠক। তাদের দাবি যোগ্য শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হোক। বাকিদের পরীক্ষা নেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা জমাদেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

২০২৪ সালের এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের সমস্ত নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে। সেই রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আরও নির্দেশ দেয় যে যারা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এসএসসি-র মাধ্যমে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি এবং ডি এর মাধ্যমে যে সমস্ত নিয়োগে অনিয়ম পাওয়া গেছে তাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ মত দেন যে পশ্চিমবঙ্গ এসএসসির নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাপক কারচুপি এবং জালিয়াতির উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। "আমাদের মতে, এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া কলুষিত এবং অপূরণীয়ভাবে কলঙ্কিত। ব্যাপক কারচুপি এবং জালিয়াতি, সাথে প্রচ্ছন্ন করার চেষ্টা, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে মেরামত এবং আংশিক মুক্তির বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বৈধতা ক্ষুন্ন হয়েছে," শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Humayun Kabir: ‘মসজিদের একটাও ইট খুলতে দেব না!’ মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার হুমায়ুনের
Murshidabad : নয়া মেরুকরণ! বেলডাঙায় যখন বাবরি মসজিদ, বহরমপুরে তখন রাম মন্দিরের শিলান্যাস