
Malda News: কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বাংলাভাষীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, পুশব্যাক করছে।গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। এসআইআর করে নাগরিকদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মালদহ তৃণমূল সভাপতির। পাল্টা মন্তব্য বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর।
‘’প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দেশে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছিল বিনয়,বাদল, দীনেশ, আসফাকউল্লাহ খান। বর্তমানে সেই দেশে একটা সরকার এসে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে। মানুষ খেঁকো সরকার,নেকড়ে বাঘের মতো একটা সরকার,রক্ত পিপাসু সরকার।প্রতিনিয়ত মানুষকে খুন করা একটা সরকার, গণতন্ত্র হত্যা কারী একটা সরকার।এই সরকার স্বাধীনতা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।'' শুক্রবার ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে এমনটাই বিজেপি সরকারকে বেলাগাম আক্রমণ শানালেন মালদহের তৃণমূল সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। এদিন সামসি থেকে মালতীপুর পর্যন্ত বাইপাস ধরে কয়েকহাজার কর্মীদের নিয়ে বাইক র্যালি করা হয়।
র্যালি শেষে বিজেপির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি।তার অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন।বাইরে পিটিয়ে মেরে ফেলে দিচ্ছেন।বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দিচ্ছে।
‘’দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এবার ভারতে পুর্নাঙ্গ স্বাধীনতা হবে। আগামী দিনে মমতার নেতৃত্বে পুর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই। যেন মানুষ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। এ মাটি বাংলার। বিজেপি সরকারের নয়। এসআইএর লাগু করে আমাদের নাগরিকদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বাংলা দখল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। যে এসআইআর মানুষকে বিপদে ফেলবে সেই এসআইআরকে আমরা মানছি না ও মানব না।''
অন্যদিকে, মাত্র তিন দিন আগে কর্মক্ষেত্রের যোগ দেওয়া নার্সের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে হুগলিতে। ঘটনাস্থল হুগলির সিঙ্গুরের বড়াতেমাথা অঞ্চলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। শিবম সেবা সদন নার্সিংহোম। মাত্র তিন দিন আগে এক বান্ধবীর পরিচয় সূত্রে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে হাসপাতালের চার তোলার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবতীর নাম দিপালী জানা। বয়স ২৪ বছর। বাড়ি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রায় নগর এলাকায়।
দিপালীর বাবা সুকুমার জানার অভিযোগ, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই দিপালী ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং প্রশিক্ষণের,জে এন এম এর পরীক্ষা দিয়েছিল। সার্টিফিকেট এর জন্য এই বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতে এসেছিল। চলতি সপ্তাহে বুধবার রাতে হাসপাতালে চারতলার ঘর থেকে দীপালির ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাত এগারোটার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিপালীর বাবাকে ফোন করে জানায় তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবার পরিজনেরা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভোর তিনটের সময় হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়ে তারা দেখেন মেয়ের দেহ পুলিশ নিয়ে গেছে। এর পরেই দিপালীর পরিবারের লোকজন্য ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দিপালীর বাবা সুকুমার জানা জানিয়েছেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি তার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে মালিকের শাস্তির দাবিও তোলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।