
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের উদ্যোগে খেজুরির ইড়িঞ্চিতে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন – ডিজিটাল যোদ্ধাদের মাধ্যমে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান সভাধিপতির! সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়াইয়ের জাল বিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সেই জাল যাতে জেলাস্তরে ছড়িয়ে পড়ে তারই আহ্বান জানালেন কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভার অন্তর্গত ইড়িঞ্চি গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। যার আয়োজক ছিল কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পিজুস কান্তি পণ্ডা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, যিনি এদিন যুবসমাজের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংগঠনের কার্যক্রম আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন।
কাঁথির জসভাধিপতি উত্তম বারিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের দিনে যুব সমাজই আগামী দিনের পথপ্রদর্শক। তাই আমাদের যুবকদের ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যারা সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দলীয় আদর্শ, উন্নয়নের বার্তা এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেবে।” তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই নয়, মাটির মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ স্থাপন করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় যুব নেতৃত্ব এবং কর্মীদের একতা ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মসূচির রূপরেখা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস আগামী দিনে আরো বেশি জনসংযোগ কর্মসূচি চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন খান জানিয়েছেন, সমগ্র অনুষ্ঠানটি ছিল উৎসবমুখর ও সুসংগঠিত। উপস্থিত যুবকদের মধ্যে ছিল প্রচণ্ড উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। বিজয়া সম্মিলনী ছিল শুধু মাত্র সৌহার্দ্য রক্ষার উপলক্ষ নয়, বরং দলীয় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।