
Suvendu Adhikari: শাসক দলের নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে ফুটবল মাঠে ঢুকে গুণ্ডামির অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ভিডিও শেয়ার করে মারাত্মক অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবল মাঠে ফুটবলের বদলে রেফারিকে লাথি! পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয়ে হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ তৃণমূলী সমাজবিরোধী গুণ্ডাদের কীর্তি দেখুন। খেলার মাঠের বিতর্কে রেফারিকে সর্বসমক্ষে লাথি মারছে মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান। যাকে মারছে তিনি হলেন শ্রী লক্ষণ মান্ডি, খড়্গপুর সাব ডিভিশন রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানীয় সদস্য হওয়ার পাশাপাশি পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য ও বটে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও। অনেকেই এই ভিডিও দেখে শাসক নেতার ভাইপোর আচরণের নিন্দা করছেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা আরও লিখেছেন, ‘আমি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব, তপশিলী জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯ ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নচেৎ শ্রী লক্ষণ মান্ডিকে সুবিচার পাওয়াতে ওনাকে সবরকম সহায়তা করব। আসলে তৃণমূলের সংস্কৃতি হল রেফারিকে কুরুচিকর আক্রমণ শানানো। তা ভোটের ময়দানের ক্ষেত্রে রেফারির ভূমিকায় থাকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণই হোক অথবা স্থানীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার ময়দানে এই পুঁচকে-পাঁচকা তৃণমূলী রাজা খান হোক।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের চার্চ স্কুলের মাঠে ছোটদের ফুটবল ম্যাচ চলছিল। নিজের দল গোল হজম করতেই মাঠে ঢুকে রেফারিকে লাথি মারেন রাজা। তিনি জোর করে গোল বাতিল করান। রাজার বাবা হিমাদ্রি খানও শাসক দলের নেতা। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ নেই। রাজা দলের কেউ নন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।