সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। প্রকাশ্যে মদ্যপ অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর লাথির আঘাতে গুরুতর অসুস্থ এক গৃহবধূ। ঘটনার সূত্রপাত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করছিলেন কণিকা ঘোষ। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় দীপ্ত ঘোষ নামে ওই তৃণমূল কর্মী কণিকা ঘোষকে ধাক

Nadia Tmc News: বচসার জেরে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধুর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাবাগান এলাকায়।

রাজ্যে ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। প্রকাশ্যে মদ্যপ অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর লাথির আঘাতে গুরুতর অসুস্থ এক গৃহবধূ। ঘটনার সূত্রপাত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করছিলেন কণিকা ঘোষ। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় দীপ্ত ঘোষ নামে ওই তৃণমূল কর্মী কণিকা ঘোষকে ধাক্কা মারে। এরপর শুরু হয় বচসা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই বচসা মিটে গেলেও , পরবর্তী কিছুক্ষনের মধ্যেই লাঠি হাতে এসে কণিকা ঘোষের বাড়িতে চড়াও হয় দীপ্ত ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি, এমনই অভিযোগ কণিকা ঘোষের।

জানা গিয়েছে, এরপর দীপ্ত ঘোষ লাঠি নিয়ে প্রথমে কণিকা ঘোষকে মারধর করে এরপর ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং ঘরের মধ্যে ছিল কণিকা ঘোষের বৌমা। এরপর কনিকা ঘোষের বৌমার উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয় মারধর করে এবং পেটে লাথি মারে। চিৎকার চেঁচামেচি হতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দীপ্ত ঘোষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপ্ত ঘোষ এলাকায় তৃণমূল কর্মী নামেই পরিচিত। এদিকে ঘটনার জেরে ওই গৃহবধূর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর ঘটনার স্থল থেকে একটি টোটো করে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই গৃহবধূর শাশুড়ি কণিকা ঘোষ একটু সুস্থ বোধ করতেই তিনি রানাঘাট থানার দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন নারী নিরাপত্তা নিয়ে। প্রকাশে তৃণমূল কর্মীর মদ্যপ অবস্থায় দাদাগিরি ও মারধরের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্তর বাড়ি গেলে অভিযুক্তকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দীপ্ত ঘোষ এলাকা ছেড়ে পলাতক। কোথায় নারী নিরাপত্তা, কোথায় নারী সুরক্ষা উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার রাজনৈতিক মহলে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।