মদন মিত্র বনাম এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বন্দ্ব চরমে, ‘অশান্তি বরদাস্ত করব না’ হুঁশিয়ারি হাসপাতালের

হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মদন মিত্র। 

Web Desk - ANB | Published : May 20, 2023 10:12 AM IST / Updated: May 20 2023, 04:00 PM IST

শুক্রবার রাত থেকে কলকাতায় চরমে উঠল মদন মিত্র বনাম এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বন্দ্ব। শনিবার বেলা গড়াতেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে পালটা হুঁশিয়ারি দিল হাসপাতাল। হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মদন মিত্র।

শুভদীপ পাল নামের একজন গুরুতর আহত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। চিকিৎসা করানোর জন্য শুভদীপকে শুক্রবার রাতে এসএসকেএমে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি নেননি বলে অভিযোগ। অথচ, তিনি নাকি ওই হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। বহু ভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি না নেওয়ায় শুক্রবার রাতেই হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মদন মিত্র। এসএসকেএমে দালালরাজ চলছে এবং টাকা না দিলে এই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা হয় না, বলে সোচ্চার হন তিনি।

মদন মিত্রের দাবি, পিজি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি। রোগীকে ভর্তি না নেওয়া গেলেও সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া উচিত। ২৪ ঘণ্টা ট্রমা কেয়ার সেন্টার খোলা থাকার পরেও রোগীকে দেখা হল না কেন? তিনি বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও জানান, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অরূপ বিশ্বাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মেসেজ করে বলেন, রোগীকে দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁকে ভর্তি করানোর ক্ষমতা নেই।” এই ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করে মদন মিত্র মানুষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “যত দিন না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন, তত দিন পিজিকে ‘না’ বলুন।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধের তিনি হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, “রাস্তায় যেতে যেতে যদি এই রোগী মারা যায়, ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করব। আমি সেই মামলা লড়ব।”

এরপরেই শনিবার দুপুরে পালটা সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘জ়িরো টলারেন্স’, অর্থাৎ কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত না করার নীতি নিয়ে চলতে বলেছেন। তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের নাম না করে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজে সব ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” শুভদীপ পালকে ভর্তি না নেওয়া প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ট্রমা কেয়ারে ভেন্টিলেশন শয্যা খালি ছিল না। শুক্রবার এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে মোট ৯০০ জন রোগী এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫০০ জনকে ভর্তি করানো গেছে।

আরও পড়ুন- 
নিজের ছেলেকে খুন করে বাইক দুর্ঘটনার গল্প ফাঁদলেন বাবা ও মা, দেওয়ালে ছোট ছোট নতুন রঙের দাগ দেখেই সন্দেহ
Ram Navami Violence: রামনবমীর হিংসার তদন্তে ‘সুপ্রিম’ রায়, বহাল রইল কলকাতা হাইকোর্টের NIA সম্পর্কিত নির্দেশ
২০০০ টাকার ওপর ফের ‘নোটবন্দি’, কবে থেকে কীভাবে বদল করতে পারবেন বাতিল হওয়া নোট?

Read more Articles on
Share this article
click me!