মহুয়া মৈত্র মানেই সময়ের অপচয়! তৃণমূল সাংসদ সম্পর্কে একী বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published : Aug 10, 2025, 04:18 PM IST

TMC Vs TMC: তৃণমূলের ঘরে স্বস্তি নেই। থামছে না মহুয়া-কল্যাণ দ্বন্দ্ব। নিজের পদ ছাড়লেও মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকছেন না শ্রীরামপুরের সাংসদ।

PREV
16
তৃণমূলে অস্বস্তি

তৃণমূলের ঘরে স্বস্তি নেই। থামছে না মহুয়া-কল্যাণ দ্বন্দ্ব। নিজের পদ ছাড়লেও মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকছেন না শ্রীরামপুরের সাংসদ। শনিবার নতুন করে মহুয়াকে আক্রমণ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সতীর্থের বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্য 'সময়ের অপচয়' 'মানসম্মত নয়'- এজাতীয় মন্তব্য করেছেন। যদিও পাল্টা কোনও কথা এবারও বলেননি কৃষ্ণনগরের সাংসদ।

DID YOU KNOW ?
মহুয়া ও কল্যাণের মধ্যে সমস্যা কেন?
মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঘোরাওয় কর্মসূচী থেকে দুইজনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। যা এখনও অব্যাহত। দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। সংসদে দলের প্রথম সারির সদস্য। কিন্তু তারপরেও এই বিবাদের জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলকে।
26
কল্যাণ উবাচ

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'মহিলা আমার বিষয়বস্তু নয়... তাঁর স্ট্যান্ডার্ড নেই। তাঁকে নিয়ে আলোচনা করার কোনও মানে হয় না। তাঁর কারণে আমি অনেকের কাছে খারাপ হয়ে গেছি।' নাম না করে ঠিক এভাবেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানাকরেন মহুয়া মৈত্রকে। তিনি এখানেই থামেননি। তিনি বলেছেন, 'এটা ছিল সময়ের অপচয়। আমি আমার শক্তি নষ্ট করেছি। আমি মনোযোগ দেব উনি তেমন যোগ্য নন।'

36
পরিবর্তনের কারণ

কিন্তু কেন কল্যাণের এই পরিবর্তন? তাও ব্যাখ্যা করেছেন শ্রীরামপুরের চারবারের সাংসদ। তিনি বলেছেন, মহুয়াকে নিয়ে ঝামেলার সময় এক জুনিয়র অ্যাডভোকেড তাঁকে টেক্সট করেছিলেন। তাতেই তিনি নিজেকে পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমার একজন জুনিয়ার অ্যাডভোকেড ভাই রয়েছেন। তিনি আমাকে টেক্সট করেছিলেন। আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম ও বুঝতে পেরেছিলাম যে মহুয়া মৈত্র আমার বিষয়বস্ত নয়। আমার এখন অনেক কাজ করার আছে। '

46
মহুয়া মৈত্র কল্যাণের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি

তবে এখনও পর্যন্ত মহুয়া মৈত্র কল্যাণের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। যদিও তিনি পূর্বেও কল্যাণের মন্তব্যের কোনও সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি চিঠি লিখে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিম বা দলের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি কল্যাণ-মহুয়ার দ্বন্দ্ব শুরু হয় একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে। সেখানে কল্যাণ সম্পর্কে মহুয়া বলেছিলেন, 'শুয়োরের সঙ্গে কুস্তি করি না!'

56
কী বলেছেন মহুয়া?

সঞ্চালিকা মহুয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। সেখানেই মহুয়া সরাসরি বলে দেন, 'শুয়োরদের সঙ্গে আমি কুস্তি করতে পারবে না।' তবে এখানেই শেষ নয়, শ্রীরামপুরের সাংসদের উদ্দেশ্যে মহুয়া রীতিমত কড়া বাক্যই ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, কল্যাণকে নারী বিদ্বেষী বলেও আক্রমণ করেন। তিনি কল্যাণকে যৌন অসুখী বলেও টার্গেট করেন।

66
পদত্যাগ কল্যাণের

লোকসভার মুখ্যসচেতক পদ থেকে দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা গৃহীত হয়। শুধু তাই নয়, নতুন মুখ্যসচেতকের দায়িত্বও দিয়ে দেওয়া হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে মূলত কল্যাণকে বার্তা দেওয়া মহুয়া ইস্যুতে।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories