দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পাঁচবার সাংসদ হয়েছেন। তৃণমূলের বর্তমান সাংসদদের মধ্যে অভিজ্ঞতার নিরিখে এগিয়ে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে জোড়াফুল শিবিরের প্রবীণ নবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন জল্পনা দেখা দেয়, সেই সময় তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া থেকে শুরু করে হুগলি, বসিরহাট থেকে শুরু করে দমদম, এবার একাধিক হাইভোল্টেজ আসনে জোড়াফুল ফুটেছে। ঘাসফুলের ধাক্কায় রীতিমত পাপড়ি ঝরে পড়েছে পদ্মের। তবে সুখের সে দিন সইল না তৃণমূলের কপালে। রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করলেন দলের এক হেভিওয়েট জয়ী সাংসদ!
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পাঁচবার সাংসদ হয়েছেন। তৃণমূলের বর্তমান সাংসদদের মধ্যে অভিজ্ঞতার নিরিখে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে জোড়াফুল শিবিরের প্রবীণ নবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন জল্পনা দেখা দেয়, সেই সময় তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ অবধি সকল জল্পনায় জল ঢেলে এবারও দমদম থেকে দাঁড়ান সৌগত রায়। প্রতিপক্ষদের পরাজিত করে জয়ীও হয়েছেন তিনি।
এবার সেই সৌগত রায়ই ঘোষণা করলেন, আর ভোটের লড়াইয়ে দেখা যাবে না তাঁকে। সম্প্রতি TMC-র এই প্রবীণ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বরানগরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই এই ঘোষণা করেন তিনি। এদিন বরানগরের ওই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সৌগত বলেন, ২০২৪ লোকসভা ভোটে TMC-র সাফল্যের নেপথ্যে মহিলা ভোটারদের ভূমিকা অনেক। দমদমের সাংসদের কথায়, মহিলারাই হলেন আসল রক্ষাকর্ত্রী। বস্তি থেকে শুরু করে গ্রামের যে সকল মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন, তাঁরা আমাদের ঝুলি ভোটে ভরিয়ে দিয়েছেন। তবে যে সকল মহিলা শহরের বড় বড় আবাসনে থাকেন তাঁরা TMC-কে ভোট দেননি বলে দাবি করেন সৌগত।
উল্লেখ্য, দমদমের সাংসদ হওয়ার আগে ১৯৭৭ সালে ব্যারাকপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সৌগত। তখন অবশ্য কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন তিনি। চরণ সিং মন্ত্রীসভায় তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে। এরপর ২০০৯ সালে দমদম কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর মনমোহন সিং মন্ত্রীসভায় সৌগতর হাতে তুলে দেওয়া হয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি একাধিকবার বিধায়কও হয়েছেন TMC-র এই প্রবীণ নেতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।