শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী , তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে- সিবিআই ও এনএসজির বোম স্কোয়াড -সহ অতিরিক্ত বাহিনী ডেকেছে।
সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে উত্তাল হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালি ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ দ্বিতীয়পর্বের ভোটের সময়ই সন্দেশখালিতে একটি খালি জায়গা ইচ্ছেকৃতভাবেই অভিযান চালিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই এই অভিযান। তৃণমূল কংগ্রেস শুক্রবার বলেছে, যখন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন চলছিল সেই সময়ই কেন্দ্রীয় সংস্থা সন্দেশখালিতে ইচ্ছেকৃতভাবেই অভিযান চালিয়েছিল। যাতে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যায় পড়ে।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী , তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে- সিবিআই ও এনএসজির বোম স্কোয়াড -সহ অতিরিক্ত বাহিনী ডেকেছে। এটা ঠিক নয় বলেও দাবি করেছে। তৃণমূল আরও বলেছে, আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারের ডোমেনের মধ্যে পড়ে। সিবিআই এই ধরনের অভিযান চালানোর আগে রাজ্য পুলিশকে কোনও চিঠি দেওয়াও হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস আরও বলেছেন, রাজ্য পুলিশের নিজেরই একটি বোমস্কোয়াড রয়েছে। সেটি এই অভিযানে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু সিবিআই এজাতীয় অভিযানের আগে রাজ্যের থেকে কোনও সাহায্য চায়নি। অথচ অভিযানের খবর গোটা দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিদ্বেষ তৈরি করার জন্য সিবিআই সবরকম চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের পুরো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও চিঠিতে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন রয়েছে বলেও ভুল খবর রটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা নিশানা করেছে বিজেপিকে। বলেছে, বিজেপি সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য ব্য়বহার করছে বলেও অভিযোগ করেছে। তৃণমূল বলেছে, 'এটি আরও পুনরাবৃত্তি করেছে যে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভবত বিজেপির একটি চক্রান্ত সিবিআই এবং এনএসজির সাথে এই স্থানে অস্ত্র স্থাপনের ষড়যন্ত্র।'
সিবিআই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। পাসাশাপাশি শাহজাহানের প্রয়োজনীয় নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছিল। অস্ত্রের সম্ভারের মধ্যে ছিল বিদেশি অস্ত্র। পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছিল। ছিল প্রচুর গোলাবারুদ। জানুয়ারি মাসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের টিম রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয়। সেইসময় ইডির ওপর চড়াও হয় একদল উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল শাহজাহান। ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তারপরই সিবিআই-এর হাতে রয়েছে শাহজাহান। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।