দলিল দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ডায়মন্ড হারবারে দিয়েছিলেন দলীয় কাজে। সেখানেই তিনি দলিল ইস্যুকে আদালতেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ডায়মন্ড হারবারে দলীয় বৈঠকের পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নিশানা করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন কেন দিলীপ ঘোষর বাড়িতে তল্লাশি হবে না কেন? পাশাপাশি অভিষেকের দাবি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যদি তল্লাশি চালান হত তাহলে হয়তো আরও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হত। টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অভিষেক।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময় অর্পিত মুখোপাধ্যায়ের নামে অনেক দলিল ও নথি উদ্ধার হয়েছিল। সেই কারণে অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ও এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কেন দিলীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হল না। হতে পারে সেখানে টাকা থাকত। তারপরই তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কারণে কেন দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হল না?
তারপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে। অভিষেক বলেন , বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন দোষীরা শাস্তি পারেন। তাহলে এবার সেটাই বিচারপতির সুনিশ্চ করা উচিৎ। তিনি বলেন তাঁর প্রশ্ন আদালতের কাছে কেন দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হল না।
এপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল দিলীপ ঘোষ প্রসন্ন রায়ের মাধ্যমে একটি জমি কিনেছিলেন। সেই দলিলই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক রায় বা নির্দেশে উষ্মা প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল। এবার আবারও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নিশানায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একদিকে এই বিচারক যখন চাকরিপ্রার্থীদের কাছে মসীহা হয়ে উঠছেন তখন সম্পূর্ণ অন্য ছবি তৃণমূলের অন্দরে।
অভিষেক শুভেন্দুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি বলেন, 'দুঘণ্টা আগে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে একরকম কথা বলেন, দুঘণ্টা পরে অন্যরকম কথা বলেন। ওঁর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। শুভেন্দু অধিকারীর একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।' যদিও তৃণমূল সোমবারই শুভেন্দু অধিকারীকে গেট ওয়েল সুন লেখা কার্ড পাঠিয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই থেকে বাঁচার জন্য অমিত শাহের পায়ে ধরে বিজেপিতে গেছে। কথা প্রসঙ্গে এদিন তিনি সারদা ও নারদকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন ক্যামেরার সামনে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ভিডিও সকলেই দেখেছে। অন্যদিকে সুদীপ্ত সেনও বারবার দাবি করছে শুভেন্দু কোটি টাকা নিয়েছে । কিন্তু এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও তদন্ত করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
চপ ভাজলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রাম সফরে একদম অন্যরূপে মুখ্যমন্ত্রী
ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খোঁজখবর নিতে সরাসরি চলে গেলেন আদিবাসী পাড়ায়