মেদিনীপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীরা। অনেকেই চোট পেয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওড়িশার বালেশ্বর থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধারকারী বাস আপারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। শনিবার বিকেলে মেদিনীপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর ফলে বাসের অধিকাংশ যাত্রী কমবেশি চোট পেয়েছে। এই দুর্ঘটনার পরেই জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে কাছে তিনটি ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি ট্রেনের সঙ্গে বাংলার যোগা রয়েছে। কারণ একটি ট্রেন শিলামার ছেড়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেস হাওয়ায় ফিরছিল যাত্রীদের নিয়ে। তাই দুর্ঘটনা কবলে পড়া যাত্রীদের একটি বড় অংশই বাংলার। সেই জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য বাংলার একাধিক জেলা থেকে ত্রাণ পাঠান হচ্ছে। তেমনই বাসটি পাঠান হয়েছিল বালেশ্বরের দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য। কিন্তু যাত্রীদের নিয়ে আসার পথে বাসটি ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রী সামান্য চোট পেয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে রাজ্যের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠান হয়েছে।
এদিন দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন। মমতা বলেন রেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের জন্যই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে না মোদী সরকার। যদি মোদী সরকার গুরুত্ব দিত তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। তিনি কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি কটকের হাসপাতালেও আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, দুর্যোগ ত্রাণ বাহিনী এবং রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সরসার যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ঘটনাস্থল থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার যাতে কোনও অসুবিধের সম্মুখীন না হয় ও ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে প্রয়োজনীয় সাহয্য পায় তা তিনি নিজে দেখবেন। হাসপাতালে গুরুতর আহতদের সঙ্গে দেখা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ভূবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশন। ঘটনাস্থলের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার নিয়ে যায়। তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে কথা বলেন। আগেই দুর্ঘটনার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
আরও পড়ুনঃ
Odisha train accident: মাত্র ২০ মিনিট! তারমধ্যেই ঘটেছিল তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছিল
কতটা সুরক্ষিত আধুনিক LHB কোচ? করমণ্ডল - যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন