রবিবার তখনও স্পষ্ট হয়নি ভোরের আলো, হঠাৎ করেই ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠল বাঁকুড়ার ওন্দা রেলস্টেশন এলাকা। চালকের তন্দ্রার জেরেই মারাত্মক দুর্ঘটনা।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি মানুষ। রাতের অন্ধকারে সুপার ফাস্ট ট্রেনের সাথে মালগাড়ির ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল শতাধিক মানুষের দেহ। এক মাস পূরণ হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গে ভোরের অন্ধকারে আবার ফিরে এল সেই মর্মান্তিক স্মৃতি। ২৫ জুন, রবিবার দিনের আলো স্পষ্টভাবে ফোটার আগেই ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠল বাঁকুড়ার ওন্দা রেলস্টেশন এলাকা। চালকের তন্দ্রার জেরে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখোমুখি দুটি ট্রেন।
স্থানীয় মানুষদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনের (Ondagram Railway Station) লুপ লাইনের ওপর বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল একটি মালগাড়ি। কিন্তু, ঠিক ওই সময়েই বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাওয়া অন্য আরেকটি মালগাড়ি ওই একই লুপ লাইনে চলে আসে। গতি সামাল দিতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে দ্রুত বেগে আসা চলন্ত মালগাড়িটি। গতি বেশি থাকায় একটির ইঞ্জিন অপরটির ওপর উঠে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। মোট ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে উলটে যায়।
এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন একটি মালগাড়ির চালক। ট্রেনের ধাক্কা লাগার প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে স্থানীয় মানুষজন ছুটে এসে দুটি গাড়ির চালককেই উদ্ধার করেন। তাঁরা দুজনেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েছিলেন। মালগাড়ির ইঞ্জিন একটির ওপর আরেকটি উঠে পড়ায় ওভারহেড তার ছিঁড়ে গেছে, এর দরুন আদ্রা- খড়্গপুর শাখায় রেল পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল?
দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, ভোরবেলার দিকে চলন্ত মালগাড়ির চালকের চোখে তন্দ্রা লেগে গিয়েছিল। ঝিমুনি এসে যাওয়ায় তিনি দেখতে পাননি যে, সিগন্যাল লাল করা আছে। লুপ লাইনের দিকে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও তিনি মালগাড়িটি ওই লাইনের ওপরেই চালিয়ে ফেলেছিলেন। ফলে, বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
আরও পড়ুন-
Adipurush: সিনেমাটা চলবে না বলেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিল: ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে বিস্ফোরক ‘রাম’ অরুণ গোভিল
Weather News: আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস