ভোট পর্বে অশান্ত ভাঙড়ে এল মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার থেকেই রুটমার্চ শুরু করেছে এলাকায়। আস্বস্ত স্থানীয়রা।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরেই উত্তাল হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভোট সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এই এলাকায়। রীতিমত আতঙ্কে এলাকাবাসী। এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা আর ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ভাঙড়ে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে প্রথম পর্বে মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় রুট মার্চ শুরু করেছে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃস্বাস স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পঞ্চায়েত ভোট পর্বে এই প্রথম ভাঙড়ে পা রাখল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ ভাঙড়ে পৌঁছায় তারা। এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল। তবে ভাঙড়ের আয়তন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিতান্তই কম। কারণ এক কোম্পানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১০০-১০৫। তারমধ্যে ২০ জনকে রিজার্ভ রাখা হয়। অর্থাৎ কাজে নামান হয় ৮০-৮৫ জনকে।
মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে ভাঙড় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তিন জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। যুযুধান আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের দিকে দায় ঠেলতেই ব্যস্ত। প্রশাসন নীরব বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। এই অবস্থায় মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে কিছুটা হলেও আস্বস্ত স্থানীয়রা। শুধু ভাঙড় নয়, ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলাতেই এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক জেলার জন্য মাত্র এক কোম্পানি করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। সেই অর্থে প্রথম পর্বে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয় কমিশন। এই দিনই দিনহাটা ও কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে বীরভূমের জন্য প্রায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হচ্ছে। গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী রাজ্যে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
যদিও রাজ্য সরকার একলপ্তে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর। কিন্তু একসঙ্গে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে পারবে না বলেও সূত্রের খবর। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ৩১৫ কোম্পানি কোন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। শনিবারও রাজ্যে কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। রবিবারও আরও দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে।