মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন স্থানীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। সেখানেই দলের একাংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।
বিজেপির বিক্ষুদ্ধদের মুখে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী তথা দলের নেতা সুভাষ সরকার। বাঁকুড়ার দলীয় কার্যালয়ে দলের নেতাকেই ভিরতে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় দলের বৃহিস্কৃতরা। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জ এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিসে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। তবে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে হায় হায় স্লোগান ওঠে।
মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জের পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন স্থানীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। সেখানেই দলের একাংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। একটি ধরে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারপর বন্ধ ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকে দলের কর্মীরা। দলের নেতাদের একাংশের অভিযোগ, দলের সব কর্মীদের নিয়ে চলছেন না সুভাষ। শুধুমাত্র নিজের অনুগামী আর তাঁবেদারদের নিয়ে দল চালাচ্ছেন। সুভাষ সরকারের এই ভূমিকায় যারা প্রথম থেকে তৃণমূল বা সিপিএম-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপিতে একটা জায়গা করে দিয়েছিল তারা বর্তমানে বঞ্চিত। সেই কারণে দলের একাংশের কর্মীরা ক্ষুব্ধ।
'পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ, ফের ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে': কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
সূত্রের খবর গোটা ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে দলের বহিষ্কৃত নেতা মোহিত শর্মা। তিনি যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। দলের বহিষ্কৃত নেচা কৌশিক সিনহা, রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য রিকু শর্মী ও তাঁদের ঘনিষ্টদের। বিক্ষুব্ধরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রীয় বন্দিকে তালাবান্দি করে রেখে দেয়। পরে বাঁকুড়া থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির সদস্য। সক্রিয়ভাবে দলের কাজও করেছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাতে কোনও কাজ বা দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র সুভাষ অনুগামীদের প্রাধান্যই দলে বাড়ছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের খারাপ ফলাফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করার জন্য দলের তিন জনকে একসঙ্গেও শোকজ করা হয়েছে। গোটা ঘটনা যুক্ত সংগত নয় বলেও দাবি।
MLA salary Hike: পুজোর আগেই সুখবর! এক ধাক্কায় হাজার হাজার টাকা বাড়ল বিধায়কদের বেতন
তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সুভাষ সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা সভাপতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তারা দলের কেউ নয়। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন দলের বাকি সদস্যরা কী করছিল, তারা কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করেনি। গোটাটাই চক্রান্ত বলেও অভিযোগ তাঁর।