সংক্ষিপ্ত

ভিকে সিং বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজে থেকেই ভারতের একটি অংশ হয়ে উঠবে। এটি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।'

 

'পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতরেই অঙ্গ। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজে থেকেই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।' ভোটমুখী রাজস্থানে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং-এর । সম্প্রতি কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি ও বিজেপি নেতারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর আবারও ভারতের অংশ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন।

ভোটমুখী রাজস্থানের দৌসায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, 'জাতীয় রাজধানীতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য বিশ্বের দরবাদে ভারত নিদের দক্ষতা আরও একবার প্রমাণ করেছে।' সেই সময়ই সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে ভিকে সিং বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজে থেকেই ভারতের একটি অংশ হয়ে উঠবে। এটি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।'

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ভিকে সিং বলেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের জাঁকজমক বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে একটি অনন্য পরিচয় দিয়েছে। দেশটি সারা বিশ্বের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, 'জি২০ বৈঠক নজিরবিহীন ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ভারত বিশ্বের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। সবদেশই খোলাখুলিভাবে ভারতের প্রশংসা করেছে। '

এদিন রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন । ভিকে সিং বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কংগ্রেসের শাসনকালে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন সরকার যুবক ও কৃষকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনও অপূর্ণ রয়েছে। সেই কারণে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়ে আবারও ক্ষমতায় বিজেপিকে আনতে চায়। বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবেই যাত্রার আয়োজন করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাক অধিকৃত মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। শিবসেনা নেতা সঞ্চয় রাউত এই মন্তব্যের জন্য নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, গোটা দেশই অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখে। সকলেই চায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ হয়ে যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন এই কথা বলেন তখন তার একটি বিশেষ গুরুত্ব থাকে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের মেয়াদকালেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অংশ করার জন্য একটি চেষ্টা করে দেখতে পারবেন। সেটাই সবথেকে ভাল হত।

অন্যদিকে কংগ্রেস বারবার দাবি করে আসছে লাদাখে ভারতের দমি দখল করেছে চিন। শুধু তাই নয় অরুণাচলপ্রদেশের দিকেও নদর রয়েছে চিনের। কিন্তু কেন্দ্র সরকার সেই কথা মানতে নারাজ। প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই এই দাবি অস্বীকার করে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রীও লাদাখ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে নারাজ। ভিকে সিংএর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কথা বলার পর থেকেই এই বিষয়গুলি উঠতে শুরু করেছে।