তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘চলো যাই গ্রামে’-এর উদ্যোগে পুরুলিয়া জেলায় গিয়েছিলেন চন্দ্রিমা। বহু মানুষ তাঁর কাছে আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের একটি দ্বন্দ্ব গড়িয়েছিল অনেক দূর অবদি। এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থও বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। অভিযোগ উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় এই প্রকল্পের অধীনে অগুন্তি কারচুপি হয়েছে এবং অসংখ্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের ক্ষমতার জোরে সরকারি আধিকারিকদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে আবাস যোজনায় বাড়ি বানিয়ে নিয়েছেন। সেই দুর্নাম ঘোচাতে এই প্রকল্পের কড়া তদারকি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের একাধিক জেলায় নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে, সঠিক পরিবারকে আবাস যোজনার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই নবান্নের নির্দেশে গ্রামে গ্রামে সমীক্ষা শুরু করেছেন সরকারি আধিকারিকরা। এবার সেই আবাস যোজনা নিয়ে সরাসরি অসন্তোষের মুখে পড়লেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘চলো যাই গ্রামে’-এর উদ্যোগে পুরুলিয়া জেলায় গিয়েছিলেন চন্দ্রিমা, বাংলার প্রান্তিক মানুষদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনার জন্য সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার উদ্যোগে শাসক দলের এই পদক্ষেপ। সেখানে পৌঁছেই জেলার গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, বহু দিন আগে সার্ভে করা হয়েছিল বলেই এখন এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার ইন্দটাঁড় ময়দানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পঞ্চায়েতের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেই তিনি চলে যান পুরুলিয়ার সারগো গ্রামে। গ্রামে গিয়ে আঞ্চলিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রামবাসীরা পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর নেন চন্দ্রিমা। আবাস যোজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। বহু মানুষ তাঁর কাছে আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্রুত তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন বাংলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী।
তবে, আবাস ইস্যু নিয়ে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেন তৃণমূল সাংসদ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যে আবাস যোজনা কার্যকর হওয়ার কথা, তা কেন্দ্র শুরু করল ২০২২সালে। এই দেরি করার জন্যই যত অশান্তি। তাঁর দাবি, সমীক্ষা করার পর যদি এত বছর অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে তো সমস্যা হবেই। তবে যদি কোনও দুর্নীতি হয়, তা দল সমর্থন করবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-
পোশাক খুলিয়ে সারা গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে বেধড়ক মারধর, হায়দরাবাদে দশ বছরের শিশুর ওপর চূড়ান্ত অমানবিকতা
বড়দিন রবিবারে পড়লেও কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় খামতি নয়, জেনে নিন নতুন সময়সূচীর তালিকা
২০২১-এর বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় করেছিলেন ৪ লক্ষ মানুষ, ২০২২-এ আগে থেকেই ভিড় ঠেকানোর প্রস্তুতি পুলিশ মহলে