সংক্ষিপ্ত

কোভিড বেড়াজালের মধ্যে থেকেই যদি ভিড় ৪ লক্ষে পৌঁছে যায়, তাহলে এবছর ভিড় প্রায় ১০ লক্ষে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। 

এক টানা দু বছরের কোভিড-লাগাম কাটিয়ে অবশেষে ২০২২-এর বড়দিন হতে চলেছে নিশ্চিন্ত। সেই আনন্দে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের বড়দিনে দ্বিগুণ জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে। ভিড় সামলানোর জন্য নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি মোতায়েন থাকা পুলিশের সংখ্যাও বাড়াতে চাইছে প্রশাসন। গত বছরের তুলনায় এবছর ভিড় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই লালবাজারকে জানানো হয়েছে। সেই মতো উপযুক্ত ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবু বিপুল জনসমাগম হয়ে গেলে কী ভাবে চাপ সামলানো যাবে, সেই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশ কর্তাদের।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে এ বার চেনা ছন্দে ফিরছে পার্ক স্ট্রিট। গত দু’বছর সরকারি বিধিনিষেধের পরেও বড়দিনের ভিড় এড়ানো যায়নি। গত বছর বড়দিনের বিকেল থেকে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ, ভিড় সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশদের। কিন্তু, এ বছর জমায়েতের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে এ বার ভিড় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ। ইতিমধ্যেই থানা, ডিভিশনের তরফে লালবাজারকে জানানো হয়েছে, বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেই ভিড় থাকতে পারে বলেও মনে করছেন পুলিশআধিকারিকেরা। ফলে ভিড় সামলানোর পাশাপাশি রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাও পুলিশের সামনে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতি বারই কত ভিড় হতে পারে, তার একটা হিসাব করে লালবাজারকে পাঠানো হয়। সেই মতো লালবাজারের তরফে ভিড় সামলাতে পুলিশি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হয়। এ বছর তুলনায় দ্বিগুণ ভিড় হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশি ব্যবস্থাও আগের বছরের তুলনায় বাড়তে পারে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটাই লালবাজার ঠিক করবে।’’

গত বছর পার্ক স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকায় বড়দিন উপলক্ষে বিকেল চারটে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ছাড়াও ভিড় সামলানোর জন্য শুধুমাত্র পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই মোতায়েন ছিলেন একাধিক ডেপুটি কমিশনাররা। ১১টি ওয়াচটাওয়ার বানিয়ে সমগ্র এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কলকাতা পুলিশের উইনার্স বাহিনী থেকে শুরু করে কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুল্যান্স, সবই মজুত রাখা ছিল। নিরাপত্তায় নামানো হয় প্রায় তিন হাজার জন পুলিশকর্মীকে। এ বার ভিড় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনায় পুলিশের সেই সংখ্যাও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ভিড় সামলাতে যা যা ব্যবস্থা করার, ডিভিশনের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভিড় বাড়লে যদি পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার প্রয়োজন হয়, তারও ব্যবস্থা করা হবে।’’


আরও পড়ুন-
দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত, জিজ্ঞাসাবাদ করার মামলায় বদল হল বিচারপতির বেঞ্চ
শাহ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই যাত্রা শুরু করতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রো
পোশাক খুলিয়ে সারা গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে বেধড়ক মারধর, হায়দরাবাদে দশ বছরের শিশুর ওপর চূড়ান্ত অমানবিকতা