ময়নাগুড়ির নাবালিকা শ্লীলতাহানি কান্ডে নয়া মোড়, সিবিআই তদন্তের দাবি প্রত্যাহার পরিবারের

‘মেয়ের মৃত্যুর পর মাথা ঠিক ছিল না। এখন দেখছি পুলিশ ভালোই কাজ করছে। তাই সিবিআই তদন্ত চাই না। জেলা পুলিশই অভিযুক্তদের শাস্তি দিক। তা হলেই আরও কোনও বাবা-মা-র কোল খালি হবে না।’ এমনই জানালেন, নাবালিকার বাবা।

Web Desk - ANB | Published : Apr 28, 2022 3:12 AM IST

‘মেয়ের মৃত্যুর পর মাথা ঠিক ছিল না। এখন দেখছি পুলিশ ভালোই কাজ করছে। তাই সিবিআই তদন্ত চাই না। জেলা পুলিশই অভিযুক্তদের শাস্তি দিক। তা হলেই আরও কোনও বাবা-মা-র কোল খালি হবে না।’ এমনই জানালেন, নাবালিকার বাবা। তিনি বলেন, হাসপাতালে শুয়ে মেয়ে বার বার বলেছে, দোষীদের যেন শাস্তি হয়। আমি চাই পুলিশ ওদের শাস্তি দিক। 

ঘটনাটি সোমবারের। উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার। তার মৃত্যুর পরই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল পরিবার। কিন্তু, দুদিনের পরে সেই দাবি প্রত্যাহার করল তারা। জানা যায়, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তারপর অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দিয়েছে। পরিবারের তার মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। তারপরই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানে হয়। তারপর সোমবার নাবালিকার মৃত্যুর ঘটে। এতদিন ধরে ঘটনার তদন্ত করছিল জেলা পুলিশ। কিন্তু, মেয়ের মৃত্যুর পর সিবিআই তদন্তের দাবি করে তার পরিবারবে। কিন্তু, আচমকাই সেই দাবি সরিয়ে নিলেন তারা। 

তবে, কেন সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে নেওয়া হল তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই দাবি শাসক দলের চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, কে কী বলছে সে প্রসঙ্গ কিছু বলতে পারব না। তবে, প্রথম থেকেই বলছি তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে।   

টানা ১২ দিনের লড়াই শেষে সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার। ১৪ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল সে। অভিযোগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির ওই নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সুযোগে এক যুবক তার বাড়িতে ঢুকে তার সঙ্গে পাশবিক আচরণ করেন। এরপর নাবালিকা চিৎকার করলে পাশাপাশি লোকজন ছুটে আসে। তখন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। নির্যাতিতার পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন। জানা যায়, ওই যুবকের দাদা তৃণমূল নেতা। তাই পুলিশি গ্রেফতারি এড়াতে আগে থেকে জামিন নিয়েছিল সে। তারপর ফের ১৩ এপ্রিল নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় তারা। সকলকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এরপরই ভয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। 

আরও পড়ুন- 'গ্রামের লোককে গুলি করে ওপারে ফেলে দিয়ে আসছে', বিএসএফ-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মমতা

আরও পড়ুন- গভীর রাতে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করল মামা, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী

​​​​​​​আরও পড়ুন- তাপপ্রবাহের দাপটের মাঝেই সুখবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
 

Share this article
click me!