সুইসাইড নোটে সাংসদ অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে বার্তা দিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বহরমপুর শহর। খবর পেয়ে নিজে ওই যুবকের বাড়িতে ছুটে যান অধীরবাবু। তবে অন্য কিছু নয়, অধীর চৌধুরীর ভক্ত হিসেবেই তাঁর উদ্দেশে বার্তা দিয়ে আত্মঘাতী হন বছর বত্রিশের সুরজিৎ বিশ্বাস।
বহরমপুর শহরের অযোধ্যানগর এলাকার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক সুরজিৎ অধীরবাবুর অন্ধ ভক্ত ছিলেন বলেই তাঁর পরিবার জানিয়েছেন। তাঁর মোবাইলের কলার টিউনেও অধীর চৌধুরীর ভাষণ রাখা ছিল। যদিও কোনওদিন সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুরজিৎ যুক্ত ছিলেন না বলেই তাঁর পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন- বাম- কংগ্রেস জোট নিয়ে আশাবাদী হয়েও কেন সংশয়ে অধীর, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে লোকসভায় বেফাঁস অধীর, বক্তব্য শুনে রেগে গেলেন সোনিয়াও
রবিবার নিজের বাড়ি থেকেই সুরজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যার কারণ স্পষ্ট না হলেও পরিবার সূত্রে খবর, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সুরজিৎ। মৃত যুবকের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে বড় বড় হরফে লেখা ছিল, 'শেষ ইচ্ছেটা আর পুরণ হলো না। অধীর চৌধুরীর ডবল হ্যাটট্রিক আর দেখা হলো না। বিদায় বন্ধু।'
সুরজিতের সুইসাইড নোট।
এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছন অধীর চৌধুরী। গোটা ঘটনায় নিজেও ভেঙে পড়েন বহরমপুরের সাংসদ। সুরজিতের দিদি- সহ পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলেন অধীরবাবু। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস তিনি বলেন, 'প্রিয়জনকে হারানোর শোক আমি বুঝি। তা কোনওভাবেই ভোলার নয়। তবে আমি সবসময় আপনাদের পাশি আছি।' এলাকার বাসিন্দাদেরও ওই পরিবারের পাশে থাকার আবেদন জানান অধীরবাবু।
কংগ্রেস সাংসদ পরে আক্ষেপের সুরে বলেন, 'আমি ভাবতেও পারিনা মানুষ এত আমাকে ভালবাসেন। আমার আফসোস আমি যদি কোনওভাবে ওই যুবককে বাঁচাতে পারতাম তাহলে নিজেকে সার্থক বলে মনে করতাম।'