সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে লোকসভায় অধীরের বক্তব্য
- কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে মানতে নারাজ অধীর
- বক্তব্য শুনে রেগে গেলেন সোনিয়া গান্ধীও
- অধীরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণ অমিত শাহের
অনেক আশা নিয়ে তাঁকে লোকসভায় দলনেতা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। সেই সোনিয়াই কাশ্মীর নিয়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য শুনে লোকসভার মধ্যেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন। কারণ ৩৭০ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গিয়ে ভরা লোকসভায় অধীর বলে বসলেন, কাশ্মীর কীভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়? কাশ্মীরের মতো ইস্যু নিয়ে অধীরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে এ দিন কংগ্রেসকে সহজেই কোণঠাসা করে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এ দিন লোকসভায় কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যের তকমা কেড়ে নেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। বক্তব্য রাখতে উঠে বিলের বিরোধিতায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী কাশ্মীরকে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলে দাবি করেন। কংগ্রেসের দলনেতা প্রশ্ন করেন, ১৯৪৮ সাল থেকে কাশ্মীরের উপরে রাষ্ট্রসংঘের নজরদারি চলছে। কাশ্মীর নিয়ে সিমলা এবং লাহোর চুক্তি রয়েছে। ফলে কীভাবে কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়?
অধীরের এই মন্তব্য শুনে বিজেপি সাংসদরা রে রে করে ওঠেন। সেই সময় দেখা যায়, দলীয় সাংসদের বক্তব্য শুনে বিরক্ত সোনিয়া গান্ধী পিছনের সারিতে বসে থাকা রাহুল গান্ধীর দিকে ঘুরে ক্ষুব্ধভাবে কিছু ইঙ্গিত করছেন। অধীরের বক্তব্যে যে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তিনি, সোনিয়ার শরীরী ভাষাতেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
স্বভাবতই অধীরের এই বক্তব্যকে লুফে নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে অধীরের কাছে জানতে চান, তাঁর এই বক্তব্যই কংগ্রেসের দলীয় অবস্থান কি না? শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গেই একধাপ এগিয়ে শাহ মন্তব্য করেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং আকসাই চিনও কাশ্মীরের মধ্যেই পড়ে। এবং কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর জন্য তাঁরা জীবন দিতে তৈরি বলেও দাবি করেন অমিত শাহ।