সংক্ষিপ্ত
- চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তথাগত রায়
- রাজ্য বিজেপির নেতারা বেপাত্তা, অভিযোগ তথাগতর
- সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
- দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন
মাঝে মধ্যেই কোনও না কোনও মন্তব্যের মাধ্যমে খবরের শিরোনামে চলে আসেন তিনি। তাঁর একাধিক মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগও করেছেন। কিন্তু, দমবার পাত্র নন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এবার চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ফেরানোর জন্য প্রথমসারির বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন ও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, তাঁরা কার্যত এখন বেপাত্তা বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে বিজেপি নেতারা কেউ মন্তব্য না করলেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বুধবার একটি টুইট করেন তথাগত রায়। ঘরছাড়া দলীয় কর্মীরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। লেখেন, "এক ঘনিষ্ঠজন এসে আমার কাছে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কয়েক হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা ঘরছাড়া করেছে। এখন ঘরে ফিরতে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। আমার রীতিমতো অসহায় লাগছে। রাজ্য বিজেপির নেতা কেএসএ হাওয়া হয়ে গিয়েছেন। আর ফোন ধরছেন না ডি।" তথাগতর এই টুইট ঘিরেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই টুইটে ‘কে’ বলতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ‘এস’ বলতে শিবপ্রকাশ এবং ‘এ’ বলতে অরবিন্দ মেনন ও 'ডি' বলতে দিলীপ ঘোষকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। কারণ এর আগেও রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য দিলীপ-কৈলাসদের কাঠগড়ায় তুলেছিলেন এই বিজেপি নেতা। আর এবার ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরাতে প্রথমসারির নেতারা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তবে বিজেপি নেতারা কেউ এগিয়ে না গেলেও সৌজন্যের নজির গড়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে টুইটে তথাগতকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। লেখেন, "স্যার ঘরছাড়াদের সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত তথ্য দিন। তাহলে আমরা শীঘ্রই তাঁদের নিরাপদভাবে ঘরে ফেরাতে পারব। আর এই ধরনের ঘটনায় যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এই সৌজন্যের কারণে চন্দ্রিমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথাগত রায়।