সংক্ষিপ্ত
- হিন্দু ধর্মে, নিরামিষ ভোজনকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে
- শাস্ত্রানুযায়ী মঙ্গলবার করে কখনওই আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়
- মঙ্গলবারকে রাশি-গ্রহ নির্বিশেষে সকলকেই নিরামিষ ভোজনের বিধান দেওয়া হয়ে থাকে
- কেন মঙ্গলবার নিকরামিষ খাওয়া উচিত জেনে নিন
হিন্দু ধর্মে অনুসারে, নিরামিষ ভোজনকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। শাস্ত্রানুযায়ী মঙ্গলবার করে কখনওই আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়।মঙ্গলবারকে রাশি-গ্রহ নির্বিশেষে সকলকেই নিরামিষ ভোজনের বিধান দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ মঙ্গলবার হল বজরংবলীর আরাধনার দিন। তাই তাঁর আরাধনা করার জন্য সকলকে নিরামিষ খাবার খাওয়ার বিধানই দেয় শাস্ত্র।
এই দিনে নিরামিষ খাওয়ার জন্য শাস্ত্রে বেশকিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। শ্রীহনুমান চালিশাতে প্রকৃতির সঙ্গে বজরংবলীর এক নিবিড় সম্পর্কের কথা বার বার উঠে আসে। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বনের প্রাণী হনুমানজির ছত্রছায়াতে বেড়ে ওঠে এবং তিনিই সকলের কক্ষাকর্তা রক্ষক। আর আমিষ খাওয়ার অর্থ হল কোনও না কোনও প্রাণীর হত্যা। এবং যিনি মঙ্গলবার আমিষ খান তাঁকে বজরংবলীর কোপের মুখে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, মনুসংহিতাতে উল্লেখ আছে ব্রাহ্মণ পুত্রের প্রতি মঙ্গলবার উপোস করা উচিত, এতে প্রকৃতি মা তাঁর ওপর প্রসন্ন থাকেন।
মঙ্গলবার দিনে জন্ম হলে জেনে রাখুন আপনার বিষয়ে এই অজানা তথ্য
শাস্ত্র বলে শ্রীহনুমান নিজে ব্রহ্মচর্য্য পালন করতেন। আর সেই কারণে মঙ্গলবার করে পুরুষদেরও ব্রহ্মচর্য্য পালন করতে বলা হয়। এতে নাকি তারা আরও স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠেন। আমিষ খাবার পুরুষের দেহে উষ্ণতা তৈরি করে। ফলে কামের প্রতি তাঁর আকর্ষন তৈরি হয়। যা তার একাগ্রতা নষ্ট করে দেয়। সেই কারণেই মঙ্গলবার আমিষ খাওয়া কখনও উচিত নয়।
পাশাপাশি হিন্দু তথা প্রাচীন সনাতন শাস্ত্রে প্রাণী হত্যা মহাপাপ বলা হয়। তবে শুধুই মঙ্গলবারই নয়, শনিবার ও বৃহস্পতিবারকেও নিরামিষ ভক্ষণের দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে। কিন্তু মঙ্গলবার এই তালিকাতে সবচেয়ে ওপরে। হনুমানজীকে সন্তুষ্ট করতে এদিন বাড়ি থেকে আমিষ খাবার দূরে রাখাই ভালো। এতে যেমন সংসারে সমৃদ্ধি আসে, তেমনই যিনি নিরামিষ খান তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন।