সংক্ষিপ্ত
- মানুষের মৃত্যুর আগাম খবর নাকি পাওয়া যায় জীব-জন্তুর মাধ্যমে
- প্যারানর্মালবিদরা এই নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন
- এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা মৃত্যুর আগাম খবর জানিয়ে দিতে পারে
- কোন কোন প্রাণী কীভাবে এই কাজটি করে
জ্যোতিষ্ক বিষয়ক তথ্য, সূত্রাবলী ও ব্যবহারিক প্রয়োগের সামগ্রিক জ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্র নামে পরিচিত। এই শাস্ত্রের উৎপত্তিকালে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান এক এবং অভিন্ন ছিল। পরবর্তিকালে জ্যোতিষশাস্ত্র জ্যোতিষ্কগুলির গতি এবং অবস্থানের ভিত্তিতে, প্রাকৃতিক এবং শারীরিক লক্ষণ অথবা দুয়ের সমন্বয়ে ব্যক্তি, সমষ্টি বা দেশের ভবিষ্যৎ নিরুপণের প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে অভিজ্ঞতাভিত্তিক জ্ঞানের সংগ্রহ হিসেবে বিস্তার লাভ করে। এদিকে মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের বা জীবের প্রানের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়।
আরও পড়ুন- বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, তবে ভুলেও তত্ত্বে রাখবেন না এই জিনিসগুলি
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মানুষের মৃত্যুর আগাম খবর নাকি পাওয়া যায় জীব যন্তুর মাধ্যমে। প্যারানর্মালবিদরা এই নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। তাদের মতেও, এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা মৃত্যুর আগাম খবর জানিয়ে দিতে পারে। সেই জ্যোতিষশাস্ত্রের মতেই, দেখা নেওয়া যাক, কোন কোন প্রাণী কীভাবে এই কাজটি করে-
বিড়াল - শাস্ত্র মতে মনে করা হয়, বিড়াল মাত্রেই মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধও পায়। এই বিশ্বাস খুব প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন- সোমবারের সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন রাশিফল
বাদুড়- বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশে মৃত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার প্রচলিত রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার মায়া ও অ্যাজটেক সভ্যতায় বাদুড়কে মৃত্যুর বার্তা বাহক বলে মনে করা হত। ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়।
কালো প্রজাপতি- কালো প্রজাপতিকে মৃত্যুর বার্তা বাহক বলে মনে করা হয়। এই সম্পর্কিত নানান সংস্কার বহু সভ্যতায় রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ তা প্রজাপ্রতি নয়। রাতের অন্ধকারে চরে বেড়ানো এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন- দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থেকে প্রকাশ পায় মানুষের গোপন স্বভাব
শিয়াল -দিনের বেলায় যদি কোনও বাড়িতে শিয়াল ঢুকে পড়ে, তবে সেই বাড়িতে কারওর মৃত্যু সুনিশ্চিত, এমনটাই বিশ্বাস করা হয় শাস্ত্রে। শিয়াল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিনের বেলা খুব একটা দেখা যায় না বা যেখানে মানুষের বাস তারা সেই অঞ্চল থেকে একটু দূরেই থাকে। তাই মনে করা হয় দিনের বেলায় বাড়িতে শিয়াল ঢোকা মানেই, সাক্ষাৎ মৃত্যুকে আহ্বাণ জানানো।
সাদা পেঁচা- বাড়ির আশেপাশে সাদা পেঁচা উড়তে দেখলে, তাকে অনেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে রয়েছে উইচক্রাফ্ট নিয়ে ইউরোপীয়দের বহু পুরনো সংস্কার। সাদা পেঁচাকে ইউরোপে মৃত্যুর বার্তাবাহক বলে মনে করা হয়। তবে আমাদের দেশে মা লক্ষীর বাহন এই সাদা পেঁচাকে খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়।
কালো ঘোড়া- কালো ঘোড়াকেও মৃত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনও শবযাত্রায় কেউ যদি কোনও কালো ঘোড়াকে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, মনে করা হয় তাঁর মৃত্য অবস্যম্ভাবী।
কুকুর- কুকুরের আচরণও আসন্ন মৃত্যুর বার্তা দেয়। তারা এমন কোনও অমঙ্গলের আভাস পেলে কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে থাকে। তাই অনেকেই আছেন কুকুর কান্নার সুরে ডাকাডাকি করতে শুরু করলেই থামিয়ে দেন। যাতে কোনও অশুভ ঘটনা না ঘটে।