সংক্ষিপ্ত

পৌষ মাসে যে কোনও ধরনের শুভ কাজ বন্ধ হয়ে যায় কারণ এই মাসে সূর্য দেবতা ধনু রাশিতে অবস্থান করেন এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব অনেকটাই কমে যায়। তবে এই মাসটি দান ও প্রার্থণার দিক থেকে খুবই উত্তম বলে মনে করা হয়। পৌষ মাসে যেমন সূর্যদেবের পূজা করা হয়, তেমনি ভগবান বিষ্ণুর পূজারও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
 

চলছে পৌষ মাস এবং এই মাস চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে এটি বছরের নবম মাস হিসাবে পরিচিত। পৌষ মাসে যে কোনও ধরনের শুভ কাজ বন্ধ হয়ে যায় কারণ এই মাসে সূর্য দেবতা ধনু রাশিতে অবস্থান করেন এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব অনেকটাই কমে যায়। তবে এই মাসটি দান ও প্রার্থণার দিক থেকে খুবই উত্তম বলে মনে করা হয়। পৌষ মাসে যেমন সূর্যদেবের পূজা করা হয়, তেমনি ভগবান বিষ্ণুর পূজারও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
হিন্দু গ্রন্থে সূর্যের ১২টি রূপের উল্লেখ করা হয়েছে। একেক রূপের পূজা একেক রকম ফল দেয়। পৌষ মাসে সূর্যদেবতার পূজা করার বিধান রয়েছে। ঐশ্বর্য, ধর্ম, খ্যাতি, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্যে পূর্ণ সূর্য ভগবানের ভগবান রূপকে পরব্রহ্মের রূপ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পৌষ মাসে সূর্য দেবতার আরাধনা করলে একজন ব্যক্তি উজ্জ্বল, সাহসী এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন। এছাড়াও তার জীবনে অর্থ, শস্য ইত্যাদির কোন অভাব থাকে না। রবিবার সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করার জন্য আপনি যদি নিয়মিত অনেক সময় বের করতে না পারেন তবে অন্তত এই মাসের রবিবারে কিছু কাজ নিয়ম পালন করতে পারেন।
রবিবার এভাবে সূর্যদেবের পুজো করুন
১) সূর্য দেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য তামার পাত্রে বিশুদ্ধ জল, লাল চন্দন এবং লাল রঙের ফুল ঢেলে সূর্য দেবকে নিয়মিত জল অর্পণ করুন। তবে সকালে যত তাড়াতাড়ি অর্ঘ্য দেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর। তাই সকাল ৯টার মধ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
২) কিছু সময় গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। কথিত আছে যে গায়ত্রী মাতা জপ করলে কুণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থান শক্তিশালী হয়। এছাড়াও আপনি সূর্য গায়ত্রী মন্ত্র 'ওম ভাস্করায় পুত্রম দেহি মহাতেজসে ধীমহি তন্নাহ সূর্য প্রচোদয়ত' জপ করতে পারেন।
৩) সম্ভব হলে রবিবার ব্রত রাখুন। পৌষ মাসের রবিবারের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে, সারা দিন উপবাস পালন করা উচিত এবং খাবারে লবণ ব্যবহার করা উচিত নয়। সম্ভব হলে শুধুমাত্র ফলের খাবারই গ্রহণ করুন এবং পরদিন সকালে স্নান করে ব্রত ভেঙে ফেলুন। এই উপবাসে সূর্যকে তিল ও ভোগ নিবেদন করুন।
৪) এই দিনে স্নানের সময় জলে কিছু গঙ্গা জল মিশিয়ে তারপর শ্রী নারায়ণের নাম নিয়ে স্নান করুন। এছাড়াও গুড়, লাল মসুর ডাল, তামা, তিল ইত্যাদি দান করুন। দুঃস্থকে লাল রঙের কাপড় দান করুন।

 

আরও পড়ুন- আগামী বছর কোন কোন রাশির জন্য শুভ ও কাদের উপর বাড়বে চাপ, দেখে নিন বার্ষিক রাশিফল

আরও পড়ুন- গাড়ি-কে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে, গাড়িতে বাস্তুমতে রাখুন এই জিনিসগুলি

আরও পড়ুন: Vastu Tips: ভুলেও এই দেওয়ালে ঘড়ি লাগাবেন না, বাস্তু ভুলে সম্মুখীন হতে পারে একাধিক ক্ষতির

আরও পড়ুন: Vastu Tips: মনসংযোগ বাড়াতে নির্দিষ্ট দিকে পড়ার টেবিল রাখুন, জেনে নিন কোন দিকে রাখা শুভ