Astrology News: বিজ্ঞান চর্চায় আধুনিক হচ্ছে বিশ্ব। এবার কী তাহলে নতুন কোনও গ্রহের সন্ধান মিলল মহাকাশে? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Astrology News: যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞান চর্চায় আধুনিকীকরণ ও প্রযুক্তিগত উন্নতি মহাকাশের বিস্তার মানব সভ্যতার দৃষ্টিগোচরে আনছে। মহাকাশে আবার এক নতুন খোঁজ, সন্ধান মিলল নতুন বামন গ্রহের। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিহাও চেং ও তাঁর দুই ছাত্র সৌরজগতের প্রান্তে এক নতুন বামন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। নাম দেওয়া হয়েছে 2017 OF201। প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির গবেষক চেংয়ের কথায়, ‘‘সূর্যের একেবারে শেষ দিকের কক্ষপথে একটি বেশ বড়সড় ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু আবিষ্কার করেছি আমরা।’’ দীর্ঘ সাত বছর ধরে চিলি ও হাওয়াইয়ের বিভিন্ন মানমন্দির থেকে টেলিস্কোপে আকাশের দিকে চোখ রাখতে হয়েছে তাঁদের। গবেষণার ফলাফল এখনও পর্যন্ত কোনও বড়ো ‘পিয়ার-রিভিউড’ জার্নালে না বেরোলেও এই আবিষ্কার আলোড়ন ফেলেছে বিজ্ঞানী মহলে।
নতুন শনাক্ত হওয়া এই গ্রহটির ব্যাস প্রায় ৬৯২ কিলোমিটার, যা প্রায় আধুনিক মহানগরের চেয়েও বিশাল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এর সূর্য থেকে দূরত্ব প্রায় ৬৭৬ কোটি কিলোমিটার, যা সৌরজগতের একেবারে প্রান্তসীমার কাছাকাছি। এতটাই দূরে যে, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ ধরে সূর্যের চারপাশে এক বার পরিক্রমা করতেই খুদে এই বামন গ্রহের সময় লেগে যায় ২৪,০০০ বছরেরও বেশি!
১৯৩০ সালে ‘২০১৭ ওএফ২০১’ শেষ বার সূর্যের সবচেয়ে কাছে এসেছিল, কাকতালীয় ভাবে সে বছরই প্লুটো আবিষ্কৃত হয়েছিল! এর পর সুদূর ২৬১৮৬ সালের আগে আর এত কাছ থেকে দেখা যাবে না এই গ্রহকে।
এই মুহূর্তে সৌরজগতে স্বীকৃত পাঁচটি বামন গ্রহ রয়েছে- প্লুটো, এরিস, সেরেস, হুমিয়া এবং মেকমেক। ২০১৭ ওএফ২০১ কোনও আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা দ্বারা বামন গ্রহ হিসাবে স্বীকৃতী পেলে হবে ষষ্ঠ বামন গ্রহ। আপাতত ‘ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্ট’ হিসেবে চিহ্নিত।
প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির গবেষক চেংয়ের কথায়, ‘‘সূর্যের একেবারে শেষ দিকের কক্ষপথে একটি বেশ বড়সড় ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু আবিষ্কার করেছি আমরা।’’
গ্রহ না বামন গ্রহ হবে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে ‘গ্রহ’ হয়ে উঠতে গেলে তিনটি শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন। এক, নক্ষত্রের চারদিকে ঘুরতে হবে তাকে। দুই, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে মোটামুটি গোলাকার চেহারা থাকতে হবে তার। তিন, তাকে নিজের কক্ষপথ পরিষ্কার রাখতে হয়—অর্থাৎ, তার আশপাশে অন্য ছোট ছোট বস্তুকে নিজের দেহে মিশিয়ে নিতে হবে। এই তৃতীয় শর্তটি পূরণ করতে না পারায় এর আগে প্লুটোকে বামন গ্রহ হতে হয়েছিল, এখন এই একই কারণে ২০১৭ ওএফ২০১ বামন গ্রহ হওয়ারই সম্ভাব্য যোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
‘‘সূর্যের একেবারে শেষ দিকের কক্ষপথে একটি বেশ বড়সড় ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু আবিষ্কার করেছি আমরা’’ নতুন গ্রহের সন্ধানে প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির গবেষক চেংয়ের এমনটাই বক্তব্য। তবে সৌরজগতে জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়নের স্বীকৃতী অনুযায়ী সৌরজগতের নবম গ্রহ না বামন গ্রহ তকমা পায়, সেটাই দেখার বিষয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

