গ্রহ যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর প্রভাব দান করে, তেমনই রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক ঘটনা, অর্থনৈতিক বিষয়, রাজনীতি ইত্যাদির উপরও প্রভাব ফেলে। রবির বছরে ভারতের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে দেখে নেওয়া যাক।

২০২৬ সালকে 'অগ্নিকারক রবির বছর' বলা হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যার প্রভাবে ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে গরম বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অহং ও জেদ বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে; তবে এটি জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা, যা বৈজ্ঞানিক সত্য নয়, তবে এর ফলে 'অগ্নিকাণ্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি' সরাসরি বলা না হলেও, উষ্ণতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে দাবানল বা অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ার একটা পরোক্ষ সম্ভাবনা থাকতে পারে। যা ভারতের জলবায়ু ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

অগ্নিকারক রবি ও ২০২৬ সাল (জ্যোতিষশাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ):

রবির প্রভাব: জ্যোতিষশাস্ত্রে রবি (সূর্য) শক্তি, তেজ, ক্ষমতা এবং অহং-এর প্রতীক। এর প্রভাবে সাধারণত উষ্ণতা, কর্তৃত্ব, এবং সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

২০২৬: এই বছরটিকে রবি দ্বারা প্রভাবিত বছর হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা উষ্ণতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য প্রভাব:

উষ্ণতা ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়লে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে, দাবানল (wildfires) বা অন্যান্য অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষত শুষ্ক অঞ্চলে।

রাজনৈতিক ও সামাজিক: 'অহং' ও 'জেদ' বৃদ্ধির কারণে রাজনৈতিক মতবিরোধ তীব্র হতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক: গ্রহের প্রভাবে রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক ঘটনা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়, ফলে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে।

ভারতে প্রভাব:

জলবায়ু: গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে, যা কৃষি ও জলসম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।

অগ্নিকাণ্ড: উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বনভূমি ও কৃষিজমিতে আগুন লাগার ঘটনা বাড়তে পারে।

রাজনৈতিক সংঘাত: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মতবিরোধ বাড়লে সামাজিক অশান্তি বা সংঘাতের সম্ভাবনা থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: এই সমস্ত ব্যাখ্যা জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে, যা বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর নির্ভরশীল নয়। তবে, জ্যোতিষশাস্ত্রীয় এই পূর্বাভাসগুলো প্রায়শই জলবায়ু ও সামাজিক প্রবণতার সঙ্গে মিলে যেতে পারে, কারণ এগুলি পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।