সংক্ষিপ্ত

শনির কুদৃষ্টি থেকে বাঁচতে, বা মা লক্ষ্মী অথবা ভগবান হনুমানের কৃপা পেতে কয়েকটি বিশেষ উপায়ে অর্পণ করুন অপরাজিতা ফুল। তারপর সেই ফুলগুলি তুলে রেখে সংরক্ষণ করুন বাড়ির টাকা রাখার জায়গায়।

পূজাপাঠ ছাড়া তন্ত্রের কাজেও ব্যবহৃত হয় অপরাজিতা ফুল। এটি একটি লতানে গাছ, যার ফুল নীল এবং সাদা রঙের হয়। নীল ফুলকে কৃষ্ণকান্ত এবং সাদা ফুলকে বিষ্ণুকান্ত বলা হয়। এই ফুলগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেবী দুর্গা এবং মা কালীর পূজায় ব্যবহৃত হয়। তন্ত্রশাস্ত্রে, এই ফুলকে ভোগপুষ্প এবং যোনিপুষ্পও বলা হয়ে থাকে। এটি তন্ত্র মন্ত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অপরাজিতার শিকড়, লতা এবং ফুলকে কাজে লাগিয়ে বহু বাধার সমস্যা নিবারণের পাশাপাশি গ্রহের দোষও কাটানো হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক অপরাজিতা ফুলের এই তান্ত্রিক প্রতিকার সম্পর্কে।

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার বাড়িতে খুব নেতিবাচক শক্তি কাজ করছে এবং এর কারণে আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তবে অপরাজিতা ফুলের এই তান্ত্রিক প্রতিকারটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য, শনিবার সাদা ফুলের অপরাজিতার শিকড় এনে নীল কাপড়ে বেঁধে ঘরের প্রধান দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন। এতে, ঘরে থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায় এবং ইতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করে।

আপনি যদি অর্থ সম্পর্কিত সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেও ফল না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অপরাজিতার এই কৌশলটি চেষ্টা করতে পারেন। এর জন্য আপনি ঘরে অপরাজিতা গাছের শিকড় নিয়ে আসবেন এবং এটি একটি রুপোর বাক্সে বন্ধ করে কয়েক দিনের জন্য বাড়ির উপাসনাস্থলে রেখে দেবেন এবং প্রত্যেক দিন সেটির পূজা করবেন। এর পর, বাড়িতে টাকা রাখার জায়গায় ওই বাক্সটি রেখে দিন। এটি করার মাধ্যমে আর্থিক সমস্যা দূর হয় এবং অর্থ সঞ্চয়ও শুরু হয়।

অনেক চেষ্টার পরেও আপনি যদি চাকরি না পেয়ে থাকেন বা চাকরিতে সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে অপরাজিতার এই প্রতিকারটি বেশ কার্যকর প্রমাণিত হবে। প্রত্যেক শনিবার অপরাজিতার ফুল তুলে ভগবান হনুমানের পায়ে অর্পণ করুন এবং তারপর ওই ফুলগুলো নিজের সাথে রাখুন। এর পাশাপাশি বুধবার মা দুর্গাকে ১১টি অপরাজিতা ফুল অর্পণ করুন। এগুলি করার মাধ্যমে আপনি শীঘ্রই চাকরি পেতে সফল হবেন এবং জীবিকায় অগ্রগতির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

যাঁরা বিয়ে করতে পারছেন না, বা কোনও বাধার কারণে বারবার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে, তাঁদের সিদ্ধযোগের জন্য নির্জন জায়গায় যেতে হবে অথবা শনিবার ডালিম কাঠ দিয়ে মাটি খনন করতে হবে এবং ১১টি নীল রঙের অপরাজিতা ফুল আঙুল দিয়ে সেই নরম মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। এটি করার সময় যেন কেউ আপনাকে দেখতে না পায়। এই নিয়ম পালন করলে বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনও বাধা দূর হয়ে যায়।

শনি দেব অপরাজিতা ফুল খুব পছন্দ করেন, তাই শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে শনিবার অপরাজিতার নীল ফুল দিয়ে পিপূলের পূজা করুন এবং সেই ফুল শনি দেবের কাছে অর্পণ করুন। সেই সঙ্গে বয়ে যাওয়া নদীতে কিছু ফুল ঢেলে শনি দেবের কাছে প্রার্থনা করুন। এই নিয়মের দ্বারা শনির সদসতী, ধাইয়া ও মহাদশার অশুভ প্রভাব কমে যায় এবং শনি দেবও খুশি হন।

প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মীর পূজা করার সময় লক্ষ্মী দেবীকে অপরাজিতা ফুল অর্পণ করুন। তারপর সেই ফুলগুলিকে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে টাকা রাখার জায়গায় রাখুন। এই নিয়মের দ্বারা যেমন অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়, তেমনই ঋণের বোঝাও কমে যায়। সেই সঙ্গে মোক্ষদ একাদশীর উপবাস এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অপরাজিতার নীল ফুল অর্পণ করলে দারিদ্র্যতা ও অর্থাভাব দূর হয়।

আরও পড়ুন-

বিছার কামড়ে অর্থলাভ, মোষের পিঠে চড়া মৃত্যুর ইঙ্গিত, স্বপ্নে একেকরকম পশু-পাখি দেখলে একেকরকম ভাগ্যফল পেতে পারেন
চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব পড়তে পারে গর্ভস্থ সন্তানের ওপর, ক্ষতি এড়াতে জরুরি নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন
পরিবারে অশান্তি বা জীবনে ব্যর্থতার প্রধান কারণ হতে পারে ঘরের নেতিবাচক শক্তি, এই কুপ্রভাবগুলি দূর করার জন্য জেনে নিন প্রয়োজনীয় উপায়