গুরু পূর্ণিমা ২০২৫, ১০ জুলাই পালিত হবে। এই দিনটি মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিন এবং গুরু দীক্ষার জন্য বিশেষ মুহূর্ত বলে বিবেচিত। জেনে নিন কেন পালন করি গুরু পূর্ণিমা ও এর তাৎপর্য।

গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করি: হিন্দু ধর্মে গুরুকে ভগবানের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করার জন্য প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়। এই দিনে সবাই তাদের গুরুদের পূজা করেন এবং উপহারও দেন। গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, তা খুব কম লোকই জানেন। এবার জেনে নিন কেন পালন করি গুরু পূর্ণিমা, কবে এই উৎসব...

কবে গুরু পূর্ণিমা ২০২৫?

পঞ্জিকা অনুসারে, এবার আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিथि ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার। তাই এই দিনেই গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালিত হবে। বৃহস্পতিবার গুরু পূর্ণিমা হওয়ায় এই উৎসবের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। ১০ জুলাই ইন্দ্র এবং প্রজাপতি নামে ২ টি শুভ যোগও থাকবে।

কেন পালন করি গুরু পূর্ণিমা?

গুরু পূর্ণিমা উৎসব মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম দ্বাপর যুগে। ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, তিনি ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার। তিনিই ১ টি বেদকে ৪ টি আলাদা বেদে ভাগ করেছিলেন, তাই তাঁর নাম বেদব্যাস। মহাভারত গ্রন্থ রচনাও করেছিলেন মহর্ষি বেদব্যাস।

গুরু দীক্ষা মুহূর্ত ২০২৫

পঞ্জিকা অনুসারে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিथि ৯ জুলাই, বুধবার রাত ১:৩৭ থেকে ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাত ২:০৬ পর্যন্ত। অর্থাৎ ১০ জুলাই সারাদিন গুরু দীক্ষার মুহূর্ত থাকবে।

গুরু না থাকলে গুরু পূর্ণিমায় কার পূজা করবেন?

যদি আপনার কোন গুরু না থাকে তাহলে আপনি গুরু পূর্ণিমায় দেবগুরু বৃহস্পতি অর্থাৎ বৃহস্পতি গ্রহ বা মহর্ষি বেদব্যাসকে আপনার গুরু ধরে পূজা করতে পারেন। তা না করতে পারলে ভগবান বিষ্ণু, শিব বা হনুমান যে কারোরই গুরু রূপে পূজা করা যেতে পারে।

বছরে কতবার আসে গুরু পূর্ণিমা?

গুরু পূর্ণিমা উৎসব বছরে মাত্র একবার আষাঢ় মাসেই আসে। দ্বাপর যুগে মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম আষাঢ় পূর্ণিমা তিথিতেই হয়েছিল, তাই প্রতি বছর শুধুমাত্র এই দিনেই গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়।

গুরুকে উপহার দেওয়া কি জরুরি?

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, গুরুর কাছে কখনও খালি হাতে যাওয়া উচিত নয়। নিজের ইচ্ছা এবং ক্ষমতা অনুযায়ী গুরুকে কিছু না কিছু উপহার দেওয়া উচিত।