সংক্ষিপ্ত

হোলাকা পবিত্র আগুনে নেতিবাচক শক্তি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই দোলের আগের দিন অবশ্যই এই কাজগুলি করুন।

 

গ্রহ ও নক্ষত্রের প্রতিকূল অবস্থা প্রত্যেক মানুষের জীবনেই থাকে। একেক জন মানুষ রয়েছে যেদের কোনও কিছু পাওয়ার জন্য অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করতে হয়, জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। আবার অনেকে আছে যারা অনেক চেষ্টা করেও সুখের মুখ দেখতে পায় না। আপনি যদি বর্তমান সময় এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান তাহলে অবশ্যই এই প্রতিকারগুলি করে দেখতে পারেব। প্রাচীন বিশ্বাস আর প্রচলিত রীতি অনুযায়ী হোলির দিন বা হোলিকার সময় এই কাজগুলি করতে জীবন রঙিন হয়। জীবন সুন্দর হয়।

আর্থিক সংকটের প্রতিকারঃ

১. আপনি যদি দীর্ঘ দিন ধরে আর্থিক সংকটে থাকেন তাহলে হোলিকা দহনের সময় নারকেলের খোসা, গুঁড়ো চিনি, একসঙ্গে হোলিকার আগুনের মধ্যে রাখুন। মনে করা হয় হোলিকার সময় এই কাজ করলে আর্থিক সংকট দূর হয়।

২. মনে করা হয় হোলিকার দিন দেবী লক্ষ্মী সদা জাগ্রত থাকেন। তাই সহজেই তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। হোলিকার ছাই একটি পরিষ্কার বা নতুন কাপড়ে মুড়ে আপনি আপনার লকার বা টাকার বাক্সে রাখতে পারেন। মনে করা হয় এতে আর্থিক সংকট দূর হয়।

৩. হোলিকার দিন বা পুজোর সময় একটি রুপোর কয়েক লাল কাপড়ে বেঁধে দেবী লক্ষ্মীর পায়ে ঠেকিয়ে তা লকারে রেখে দিন।

বেকারত্ব দূর করতে প্রতিকার

দীর্ঘ দিন ধরেই কাজের সন্ধানে রয়েছে। কাজ পাচ্ছেন না। এমনটা যদি হয় তাহলে হোলিকা দহনের সময় নারকেল, সুপারি, পান নিবেদন করুন হোলিকার আগুনে। বিশ্বাস করা হয় এতে দ্রুত চাকরি পেতে পারেন আপনি।

পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি আনতে প্রতিকার

হোলিকার ছাই পবিত্র জিনিস। তাই এটি ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন হোলিকার ছায়ই একটি পরিষ্কার নতুন পাত্রে করে ঘরের কোনও স্থানে রাখতে পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকে। নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

আপনি যদি হোলিকার ব্যবস্থা কোনও বার নাও করে থাকেন তাহলে এবার অবশ্যই করতে পারেন। কিছু শুকনো কাঠ আর পাত দিয়ে আগুন ধরাতেই পারেন বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে। তাতেই কিন্তু নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বলে মনে করেন প্রাচীন জ্যোতিষীরা।