সংক্ষিপ্ত
মহাশিবরাত্রির আগে কিছু জিনিস কুড়িয়ে পেলে, তা ধন-সম্পদের চেয়ে কম কিছু নয়, এই জিনিসগুলি সম্পূর্ণ পালটে দিতে পারে যে কোনও মানুষের ভাগ্য। জেনে নিন এই জিনিসগুলি কী কী।
মহাশিবরাত্রির তিথিকে ভগবান ভোলানাথের সবচেয়ে পবিত্র দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। যদিও বছরে মোট ১২টি শিবরাত্রি উৎসব হয়, কিন্তু মহাশিবরাত্রির উৎসব ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে পড়ে। এই দিনে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। ভগবান শিবের আরাধনায় কিছু জিনিসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বেলপত্র, জল, ধুতুরা ফুল, ইত্যাদি ছাড়া শিবের পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। মহাশিবরাত্রির আগে কিছু জিনিস কুড়িয়ে পেলে, তা ধন-সম্পদের চেয়ে কম কিছু নয়, এই জিনিসগুলি সম্পূর্ণ পালটে দিতে পারে যে কোনও মানুষের ভাগ্য। জেনে নিন এই জিনিসগুলি কী কী।
-
জ্যোতিষীদের মতে, এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যেগুলি ভগবান শিব খুব পছন্দ করেন। মহাশিবরাত্রির আগে যদি এই জিনিসটি পেয়ে যান তাহলে, তা আর্থিক লাভের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। শিবপুরাণে উল্লেখ আছে যে, শিবের উপাসনায় বেলপত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। সাধারণত, ভগবান শিবকে শুধুমাত্র তিনটি পাতার বেলপত্র নিবেদন করা হয়। তবে আপনি যদি পাঁচটি পাতার বেলপত্র এবং পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ কুড়িয়ে পান, তাহলে মনে করুন, প্রায় লটারি লেগে যাওয়ার মতো সৌভাগ্য আসতে চলেছে।
ভগবান শিবের পূজা করার সময় বেলপাতা দিতে হয়। অন্যদিকে, মহাশিবরাত্রির আগে যদি আপনি পাঁচ পাতার বেলপত্র এবং পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পেয়ে যান, তাহলে মহাশিবরাত্রির দিন এটি ভগবান শিবকে নিবেদন করুন এবং বেলপত্রটি অবশ্যই নিজের বাড়িতে এনে রাখুন। এর সাহায্যে কখনই আপনার বাড়িতে অর্থের অভাব হবে না এবং নেতিবাচক শক্তি একেবারেই ঘরে তিষ্ঠতে পারবে না। ঘরে সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকবে, কারণ ৫টি পাতার বেলপত্র ও পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পাওয়া একেবারে বিরল ঘটনা। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, পাঁচটি পাতা বিশিষ্ট বেলপত্রের অর্থ হল, পাঁচজন প্রধান দেবতা – ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, গণেশ এবং মা ভগবতী।
আরও পড়ুন-
কোন মুহূর্তে পড়তে চলেছে শিবরাত্রির পূজার মাহেন্দ্রক্ষণ? জেনে নিন বিশেষ রীতি পালনের সূচি