সংক্ষিপ্ত
শিব ঠাকুরের আশীর্বাদ পেতে প্রেমিক আর প্রেমিকারা এই মহাশিবরাত্রিতে এই কাজগুলি করুন। তাহলে বাবা মা পছন্দের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়়াবে না।
প্রেমের বিয়েতে অনেক বাধা রয়েছে। অনেক সময়ই সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাবা আর মা। ছেলে বা মেয়ের নিজের পছন্দ করা পাত্র বা পাত্রীকে মেনে নিতে চান না। কিন্তু ছেলে বা মেয়ে চায় বাবা-মায়ের সম্মত্তিতেই বিয়ে হোক। জ্যোতিষশাস্ত্রে তারও উপায় রয়েছে। আর সেই বিশেষ দিন হল আজ, অর্থাৎ মহাশিবরাত্রির দিন। এমনিতেই শিব পরম প্রেমিক-সাধাক। তাই মহাশিবরাত্রির দিনে এই কাজগুলি করতে অবশ্যই প্রেমের বিয়ের বাধা দূর হয়। আর প্রেমের বিয়েতে বাবা ও মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
জ্যোতিষ মতে মহাশিবরাত্রির দিন কতগুলি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রেমের বিয়ের যোগফল তৈরি হয়। জ্য়োষিতমত রাশিফলের সপ্তম ঘরকে বিবাহের কারক বলা হয়। অন্যদিকে রাশির সম্পত ঘরে তৃতীয় , পঞ্চম, একাদশ, ও দ্বাদশ ঘর প্রেমের বিয়ের যোগ তৈরি করে। অনেক সময় অবস্থান দুর্বল হওয়ায় প্রেম থাকলেও বিয়ের যোগ তৈরি হয় না। কিন্তু মহাশিবরাত্রির দিনে কতগুলির কাজ করলে প্রেমের বাধা দূর হয়।
মহাশিবরাত্রির দিন লাল রঙের পোশাক পরে মন্দিরে যান। মাতা পার্বতীকে লাল চূড়া বা ওড়না অর্পন করুন। চাইলে লাল রঙের শাড়িও দিতে পারেন। লাল ফুল অবশ্যই নিবেদন করবেন। চাইলে লাল ফিতে, লাল চুড়িও দেবীতে নিবেদন করতে পারেন। একই সঙ্গে পার্বতীর কাছে প্রেমিক বা প্রেমিকাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করুন।
আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন, তাঁকেই যদি জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান তাহলে মহাশিবরাত্রির দিনে শিব-পার্বতীর মূর্তি রয়েছে এমন কোনও মন্দিরে যান। শিব ও পার্বতীর পুজো করুন। লাল রঙের সুতো নিয়ে যান। তারপর সেটি নিয়ে প্রদক্ষণ করুন। প্রদক্ষণের জায়গা না থাকলে এক জায়গা দাঁড়়িয়ে প্রার্থনা করুন আর সুতোটি নিজের হাতে বেঁধে নিন। পার্বতীর কাছে নিজের জীবনসঙ্গীকে পাওয়ার প্রার্থনা করুন।
শিবরাত্রির ব্রত করলে মেয়েরা ইচ্ছেমত বর পাবেন- এই আশীর্বাদ অনেক অনেক বছর আগে মহাদেব নিজেই করেছিলেন। তাই কোনও মহিলা যদি প্রেমিককে পেতে চান তাহলে নিষ্ঠাভরে শিবরাত্রির ব্রত পালন করুন। আর পুরুষদের জন্য শিবঠাকুর বিধান ছিল তাদের মনবাসনা পূর্ণ হবে শিবরাত্রির ব্রত পালন করলে। তাই প্রেমিকাকে স্ত্রী রূপে পেতে অবশ্যই পালন করুন শিবরাত্রির ব্রত।