সন্ধ্যেবেলা কোন কিছু ঘর থেকে কাউকে দান বা দেওয়া নেওয়া করবে না। বাস্তুশাস্ত্র মতে সেগুলি আপনার সংসারে বয়ে নিয়ে আসতে পারে অরাজকতা।
বাস্তুশাস্ত্র মতে অনেক জিনিস দিক পরিবর্তন হলে বা সন্ধ্যাবেলায় কাউকে কোন জিনিস দিলে বা দুপুরে কোন প্রহরে কোন জিনিসপত্র দিলে বা দেওয়া না করলে সেগুলি শুভ হয়না। বাস্তু ও জ্যোতিষশাস্ত্রে সন্ধ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
সূর্যাস্তের পর কিছু জিনিস ধার করা বা দেওয়া বা দান করা অশুভ বলে মনে করা হয়।কারণ এর ফলে আর্থিক ক্ষয় ক্ষতি হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি করলে বা না করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম বা বেশি হতে পারে: পুরাণ মতে বলা হয় দুধ চাঁদের প্রতীক। যা সংসারে শান্তি ও শ্রীমৃদ্ধি নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পরে দুধ ধার দেওয়া বা দান করা পরিবারের ইতিবাচক শক্তি হ্রাস করে। এর ফলে আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও মানসিক অশান্তি দেখা দিতে পারে ঘরে ঘরে। প্রয়োজনে সকালে দেবেন। এতে অর্থ ও সমৃদ্ধি আসে সংসারে।
দইকে সবসময় খুব শুভ বলে মানা হয়। মানুষ কখনও কোনো শুভ কাজে বেরোলে দই এর ফোঁটা বা দই মুখে দিয়ে যান। দই সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে আছে এটি শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। সন্ধ্যার পরে দই দান করলে অর্থের ক্ষতি হতে পারে এবং পারিবারিক সুখ হ্রাস পেতে পারে। সর্বদা সকালে বা সূর্যাস্তের আগে দই দান করুন। এটি ঘরে ইতিবাচকতা বজায় রাখে এবং সমৃদ্ধি বাড়ায়।
অন্যদিকে নুন হলো শনি এবং রাহু গ্রহের সঙ্গে জড়িত। ধার দেওয়া, বা সন্ধ্যার পরে নুন দান করা নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। এর ফলে বাড়িতে আর্থিক ঝামেলা এবং মানসিক চাপ হতে পারে। শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নুন দান করুন।
অপরদিকে চিনি হলো শুক্র গ্রহের প্রতীক। যা সুখ এবং জাঁকজমকের সঙ্গে যুক্ত। সন্ধ্যার পর যদি চিনি দান করেন তাহলে দাম্পত্য জীবনে অর্থের ক্ষতি ও মানসিক চাপ হতে পারে। প্রয়োজন হলে সূর্যাস্তের আগেই চিনি দান করুন। এতে ঘরের সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে এবং নেতিবাচক প্রভাব কমে।
চিনির সাথে সাথে বলা যায় হলদি বা হলুদ বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। শ্রীবৃদ্ধি স্বাস্থ্যের প্রতীক হিসাবেও বিবেচিত হয়। সন্ধ্যার পরে হলুদ দান করলে সম্পদ এবং স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সবসময় দিনেরবেলা হলুদ দান করুন।


